বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, উন্নত দেশগুলোতে শুল্ক জটিলতা দূর করা হলে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আরও বাড়বে। শুল্ক জটিলতার কারণে বাংলাদেশের রফতানি অনেক ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করার কথা, কিন্তু অনেক উন্নত দেশ সে সুবিধা দিচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের শুল্ক জটিলতার কারণে রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
Advertisement
বাণিজ্যমন্ত্রী সোমবার মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কোনিও মিকুরিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন উদ্যোগ নিয়ে শুল্ক ক্ষেত্রে চলমান জটিলতাগুলো দূর করলে উন্নত বিশ্বের বাংলাদেশের পণ্য রফতানি বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন নামে শুল্ক আরোপের কারণে বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৩৪.৮৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। ২০২১ সালে রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রফতানি পণ্য এবং বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে।
Advertisement
অনেক দেশে শুল্ক জটিলতার কারণে পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে উচ্চ শুল্কহার, নতুন নতুন নামে শুল্ক আরোপ রফতানির জন্য বড় বাধা। ওয়াল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন এক্ষেত্রে কাজ করতে পারে।
সফররত ওয়াল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোর কাস্টমস সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে। শুল্কায়নের ক্ষেত্রে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও টেকনিক্যাল সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
বিশ্ববাণিজ্য সহজীকরণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন। কাস্টমস জটিলতার কারণে যাতে বিশ্ববাণিজ্য বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে কাজ করছে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন। বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, ডব্লিউটিও এর মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী, রফতানি ২ শাখার অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এমএ/ওআর/আরআইপি
Advertisement