ধর্ম

জিকির আল্লাহর সর্বোত্তম ইবাদত

জিকির হলো আল্লাহর স্মরণ। আল্লাহ তাআলার স্মরণে যে কাজই করা হয় তাই ইবাদত। সে হিসেবে জিকির আল্লাহ তাআলার ইবাদত। আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য যত বিধান নাজিল করেছেন, তা বাস্তবায়নে গবেষণা করা, চিন্তা-ফিকির করাই হলো জিকির। আর জিকিরের মাধ্যমেই মানুষের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে।

Advertisement

জিকিরের মাধ্যমেই মানুষ দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করে থাকে। এ কারণেই মানুষ বিভিণ্ন সময় জিকিরের মজলিশের আয়োজন করে থাকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিকিরকারীদের অনেক ফজিলত বর্ণনা করেছেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মানুষের কোনো দল যখন আল্লাহর জিকির করতে বসে; নিশ্চয় আল্লাহর ফেরেশতাগণ ওই জিকিরকারীদেরকে চারদিক থেকে পরিবেষ্টন করে থাকেন।

আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত দ্বারা তাদের (জিকিরকারীদের) ঢেকে ফেলেন এবং তাদের ওপর তখন শান্তি বর্ষিত হয়। এমনকি আল্লাহ তাআলা তাঁর নিকটস্থ ফেরেশতাদের সম্মুখে তাদের (জিকিরকারীদের) স্মরণ করেন। (বুখারি ও মুসলিম)

Advertisement

এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অসংখ্য জায়গায় জিকির করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা খুব বেশি করে আল্লাহর স্মরণ (জিকির) করতে থাকো। আশা করা যায়, এ কাজেই তোমাদের কল্যাণ হবে। (সুরা আনফাল : আয়াত ৪৫)

পরিশেষে…শুধুমাত্র বা আল্লাহ-আল্লাহ, তাসবিহ-তাহলিল করার মধ্যেই জিকির সীমাবদ্ধ নয়; বরং প্রত্যেক কাজে আল্লাহর নির্দেশ পালন করা হলো সবচেয়ে বড় জিকির।

তা হতে পারে কুরআন তেলাওয়াত করা; কুরআন-হাদিস শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেয়া; কুরআন-হাদিস নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা; ওয়াজ-নসিহত করা এবং তা শ্রবণ করার পাশাপাশি বাস্তবজীবনে আমল করা।

Advertisement

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর বিধি-বিধান পালনের মাধ্যমে সর্বোত্তম জিকির করার তাওফিক দান করুন। জিকিরের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস