জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পাঁচজন সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
Advertisement
আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে, পাঁচ সাক্ষীকে জেরা করার জন্য কেন অনুমতি দেয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া এই আবেদন করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুরান ঢাকায় আলিয়া মাদরাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে। এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ বৃহস্পতিবার জেরার দিন ধার্য রয়েছে।
Advertisement
আইনজীবী জানান, রাষ্ট্রপক্ষে ৩৬ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ওই ৩২ সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনকে খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করা হয়নি। জেরার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারিক আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে বুধবার (২১ জুন) হাইকোর্টে রিভিশন আবেদনটি করা হয়। আগামী ২ জুলাই আবেদনটি হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ।
Advertisement
ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অখণ্ড ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এফএইচ/জেডএ/বিএ