রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বেগম সুফিয়া কামালের আদর্শ ও অমর সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের কাছে প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। তার সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২০ জুন) কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১০৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
বাণীতে তিনি বলেন, দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলন সংগ্রামে সুফিয়া কামাল সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন সর্বদা সচেষ্ট। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছিল সুফিয়া কামালের জীবনব্যাপী সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্য।
Advertisement
রাষ্ট্রপতি বলেন, সুফিয়া কামালের জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদের এক অভিজাত পরিবারে। তৎকালে বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতা চর্চা শুরু করেন। সুললিত ভাষায় ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে তাঁর কবিতায় ফুটে উঠত সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও সমাজের সার্বিক চিত্র।
তিনি বলেন, নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার সঙ্গে সুফিয়া কামালের সাক্ষাৎ ঘটে ১৯১৮ সালে কলকাতায়। বেগম রোকেয়া ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণার উৎস। কবির প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায় ১৯২৬ সালে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’ ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হলে রবীন্দ্রনাথ এ কাব্য পড়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ কাব্যের ভূমিকা লিখেন কাজী নজরুল ইসলাম। সুদীর্ঘকাল ধরে তিনি সাহিত্য চর্চা, সমাজসেবা ও নারী কল্যাণমূলক নানা কাজে জড়িত ছিলেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের ১০৬তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং কবির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
এএসএস/এসআর/আরআইপি
Advertisement