একেক শিশুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একেক রকম হয়। সেই অনুযায়ী তৈরি করুন আপনার পরিকল্পনা। আপনার সন্তান কীভাবে সময় কাটাতে ভালোবাসে, কতটা মনোযোগী এবং কোন সময়ে পড়তে বসতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এসব কিছু মাথায় রেখে ওর দিনের রুটিন স্থির করুন। আর রুটিনটা ওর সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করুন।নিজেকে সন্তানের কাছে রোল মডেল করে তুলুন। মৌখিক দিকনির্দেশনার পাশাপাশি নিজেও বাড়ির নিয়ম মেনে চলুন। এতে করে অনেক বেশি লাভবান হবেন। নিজের সময়ের কাজ সময়ে করুন। কারণ সন্তানরা আপনাকে দেখেই শিখবে।খুব বেশি নিয়ম-কানুন বাচ্চাদের ওপর চাপিয়ে না দেয়াই ভাল। স্কুল থেকে ফেরার পর অন্তত দুই ঘণ্টা যেন ছোটাছুটি করে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পারে। ছবি আঁকা, স্ট্যাম্প জমানোর মতো নিজস্ব কিছু শখ থাকলে উৎসাহ দিন।শৃংখলা কখনোই চাপিয়ে দেবেন না। কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ওর পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। কেন আপনি সিদ্ধান্তটি নিচ্ছেন, সেটা বুঝলে ওর কাছে শৃংখলার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।অন্যায় করতে দেখলে প্রথমে সতর্ক করে দিন। বুঝিয়ে বলুন তারপর শাস্তি দিন। শাস্তি মানেই শারীরিক প্রহার নয়। কিছু দিনের জন্য ওর পছন্দের কোনো জিনিস বন্ধ করে দিন। অথবা ওর সঙ্গে কথা বলা থামিয়ে দিন।সবার সামনে ওর সমালোচনা বা নিন্দা করবেন না এতে করে ওর আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে পারে। কথাবার্তায়, আচার-আচরণে ইতিবাচক ইঙ্গিত থাকলেও উৎসাহিত বোধ করবে।উপলক্ষ ছাড়াই পছন্দ মতো ছোট কোনো উপহার দিন। যাতে বুঝতে পারে ওর ব্যবহার ও কাজকর্মে আপনারা খুশি।বাচ্চার সামনে কখনোই কোনো গুরুজনের সমালোচনা বা মিথ্যাচার করবেন না। তাহলে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা তো হারাবেই, আপনাকেও অশ্রদ্ধা করতে শিখবে।এইচএন/আরআইপি
Advertisement