কাতারের সঙ্গে মালদ্বীপসহ আরব বিশ্বের প্রভাবশালী সাত দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প নিজেই। ট্রাম্প বলেছেন, কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব তার।
Advertisement
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরব সফরে তাকে জানানো হয়েছিল, ‘কাতার জঙ্গিদের সমর্থন করছে ও অর্থের যোগান দিচ্ছে’।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় আমি বলেছিলাম জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে হবে, এটাকে কোনোভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। দেখেন-নেতারা কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।’
এরপর আরেকটি টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘সৌদি আরবসহ ৫০টি দেশ যে বলছে তারা চরমপন্থা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে। কাতারকে উদ্ধৃত করে তারা তাদের সিদ্ধান্তও জানিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে সম্ভবত এটাই শুভ সূচনা।’
Advertisement
উল্লেখ্য, সোমবার সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তাদের অভিযোগ, মুসলিম ব্রাদারহুড, ইসলামিক স্টেট (আইএস), অাল কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে কাতার।
কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এসব দেশের নাগরিকদের কাতারে যাওয়া, সেখানে বসবাস করা বা কাতার হয়ে অন্য কোনো দেশে যাওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই সাত দেশের নাগরিকদের আগামী ১৪ দিনের মধ্যে কাতার থেকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং বাহরাইনে বসবাসরত কাতারিদেরও একই সময়ের মধ্যে এসব দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া অাকাশসীমা ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে প্রতিবেশী দেশগুলো কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বাইরের দেশগুলো থেকে কাতারে পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বিএ
Advertisement