ধর্ম

দুশমনের আক্রমন থেকে হেফাজতের দুর্গ যে আয়াত

দুশমনের আক্রমন থেকে হেফাজতের দুর্গ যে আয়াত

হজরত মুহাল্লাব ইবনে আবু সারাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু’র সনদে বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম এক যুদ্ধে রাত্রিকালীন হেফাজতের জন্য বলেছিলেন; রাতে তোমরা (দুশমনের দ্বারা) আক্রান্ত হলে حم - لاينصرون (হা-মিম লাইউংছিরুন) পড়ে নিবে।

Advertisement

অর্থাৎ ‘হা-মিম’ শব্দ দ্বারা দোয়া করতে হবে যেন শত্রুরা তাদের শত্রুতায় সফল না হয়। কেননা তোমরা হা-মিম বললে শত্রুরা সফল হবে না। আর হা-মিম হলো শত্রুদের (আক্রমন থেকে) হেফাজতের দুর্গ। (তিরমিজি, আবু দাউদ)

আয়াতটি হলো-

উচ্চারণ : হা-মিম। তাংঝিলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল আযি-যিল আ’লি-ম। গা-ফিরিজ্‌জামবি ওয়া ক্বা-বিলিত তাওবি শাদি-দিল ই’ক্বা-বি জিতত্বাওলি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়া ইলাইহিল মাছি-র। (সুরা মুমিন : আয়াত ১-৩)

Advertisement

আয়াতের ফজিলতহজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে ‘আয়াতুল কুরসি’ এবং সুরা মুমিনের প্রথম তিন আয়াত পাঠ করবে, সে ঐ দিন যে কোনো কষ্ট ও অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে।

উল্লেখিত হাদিসের আলোকে বুঝা যায়->> যখন কোনো মানুষ শত্রুর আক্রমনে পতিত হবে; তখন উল্লেখিত আয়াতগুলো পড়লে আল্লাহর রহমতে শত্রুর আক্রমন থেকে হেফাজত থাকবে।

>> আবার প্রতিদিন নিয়মিত এ আয়াতগুলো তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তাআলা এর তেলাওয়াতকারীকে ওই দিনের যাবতীয় অনিষ্ট ও ক্ষতি হেফাজত করবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত আয়াতের আমল করে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/পিআর