আইন-আদালত

এমপি রানার জামিন আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় একই দলের টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের (৪ আসনের) সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে জামিন দেয়া হবে কি না সে বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

এ সংক্রান্ত জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এ. কে. এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ উত্থাপিত হয়নি মর্মে রুল খারিজ করে দেন।

আদালতে আজ এমপি রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ড. বশির আহমেদ। অপদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

গত ২০ মার্চ সোমবার রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৩০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। আজ নির্ধারিত দিনে এই আদেশ দেন আদালত। এরআগে গত ১৮ জানুয়ারি রানার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

Advertisement

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়ার বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর তিনদিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ না করলেও পরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি দাবি করেন, টাঙ্গাইলের খান পরিবারের চার ভাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। এ মামলার তদন্ত শেষে গতবছর ৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গতবছর ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পন করেন রানা। সেই থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দী।

এরইমধ্যে রানার জামিনের আবেদনের ওপর হাইকোর্টে একাধিক বেঞ্চে শুনানি হয়েছে। বিভিন্ন বেঞ্চে উত্থাপিত হয়নি মর্মে তা খারিজ হয়েছে। সর্বশেষ গতবছর ১১ ডিসেম্বর উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করা হয়। এরপর বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে নতুন করে শুনানি হয়। এ বেঞ্চ রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর নতুন বেঞ্চে শুনানি হলো।

এফএইচ/এনএফ/জেআইএম

Advertisement