সিরিজ জয়ের মিশন নিয়েই শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে ডাম্বুলায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তাই সিরিজ জয়ের জন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। তবে পরিত্যক্ত ম্যাচেও বাংলাদেশের প্রাপ্তি তাসকিনের হ্যাটট্রিক। দেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে এ তালিকায় নাম লেখান টাইগার এই বোলার।
Advertisement
এদিকে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে খেলার উদ্দেশ্যে কলম্বো যাওয়ার আগে নিজের হ্যাটট্রিক নিয়ে তাসকিন জানান, `হ্যাটট্রিক করতে পেরে ভালো লাগছে। তবে উৎসবে মেতে ওঠার মত না। কারণ বৃষ্টিতে ম্যাচ হয়নি, ম্যাচ হলে আর যদি জিততে পারতাম, তাহলে ভালো লাগাটা পূর্ণতা পেত। আমরা আসলে সিরিজ জিততে চাই। আর এই ম্যাচ জিততে পারলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হত। তখন হ্যাটট্রিকের আনন্দটাও হতো অন্যরকম।`
দ্বিতীয় ওয়ানডের শেষ ওভারের বল করতে আসেন তাসকিন। তৃতীয় বলে অ্যাসেলা গুনারত্নের ক্যাচ ধরলেন সৌম্য সরকার। চতুর্থ বলে সুরাঙ্গা লাকমালের ক্যাচটা ঝাঁপিয়ে ধরলেন মোস্তাফিজুর রহমান। পঞ্চম বলে নুয়ান প্রদীপকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফেলেন তাসকিন আহমেদ।
এদিকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বপ্রথম হ্যাটট্রিক করেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। ২০০৬ সালে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তাফাদজাওয়া মুফাম্বিসি, এল্টন চিগুম্বুরা এবং তাফান্দা মুফারিওয়াকে ফিরিয়ে দেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেন শাহাদাত।
Advertisement
দেশের হয়ে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটি করেন স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। প্রতিপক্ষ এবারও জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, ২০১০ সালে। প্রসপার উতসেয়া, রেমন্ড প্রাইস এবং ক্রিস্টোফার এমপোফুকে ফিরিয়ে এই হ্যাটট্রিক করেন রাজ্জাক।
তৃতীয় হ্যাটট্রিকটি আসে রুবেল হোসেনের কাছ থেকে। এবার প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ২০১৩ সালে মিরপুরে। সেবার কোরি এন্ডারসন, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং জিমি নিশামকে ফিরিয়ে এই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ হ্যাটট্রিক করেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এবারও প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর। তবে তাইজুলের এই হ্যাটট্রিকের আলাদা মাহাত্য আছে। তিনি হ্যাটট্রিকটা করেছেন অভিষেকেই। আর কোনো বোলার অভিষেকে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করেননি। ফেরান তিনাশে পানিয়াঙ্গারা, জন নাইউম্বু এবং তেন্দাই চাতারাকে।
এমআর/পিআর
Advertisement