বিশেষ প্রতিবেদন

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা পূর্ণতা পাচ্ছে শেখ হাসিনায়

লাল-সবুজের বাংলাদেশ। বাঙালির প্রাণপুরুষ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদশ। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তিনি জন্মেছিলেন বলেই দেশটির জন্ম। হাজার বছরের বঞ্চনা আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে দীপ্ত স্লোগানের নামই বঙ্গবন্ধু। রাজনীতির গুরু তিনি, রাজনীতির কবি তিনি।

Advertisement

সদ্য জন্ম নেয়া দেশটি যখন এই মহান নেতার হাতে প্রতিপালিত হচ্ছিল, ঠিক তখনই মানবতাবিরোধী শক্তি তার আলোর প্রদীপ নিভিয়ে দেয়।

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সাল। ঘাতকরা ওই দিন শুধু জাতির জনকের জীবনপ্রদীপই নিভিয়ে দেয়নি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গেও বেঈমানি করেন। ’৭৫-এর পর সামরিক ফরমান আর ধর্মান্ধতার ছায়ায় রাষ্ট্র পরিচালিত হতে থাকে পাকিস্তানি ভাবধারায়।

এমনই ক্রান্তিকালে দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসিত থাকার পর জীবনবাজি রেখে বাবার হাতে গড়া দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু-তনয়া শেখ হাসিনা। শত প্রতিকূলতা আর জীবনবিনাশী ষড়যন্ত্র পায়ে ঠেলে শেখ হাসিনা এগিয়ে চলছেন এক অদম্য গতিতে। যেন তার হাতেই আজ সাড়ে চার দশকের বাংলাদেশ অধিক নিরাপদ, নিশ্চিত, নির্ভার।   

Advertisement

১৭ মে, ১৯৮১ সাল। বিমানবন্দরে নেমেই কাঁদলেন, কাঁদালেন বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা। বৃষ্টি জলে নয়নের জল মিশে যেন একাকার। সেদিন হৃদয়বিদারক এমন দৃশ্যে করুণের সুরলহরি বেজে উঠলেও জৈষ্ঠের তাপদাহ নিমিষেই যেন শীতলে রূপ নেয়। ঢাকার সমস্ত রাস্তা সেদিন মিলেছিল বিমানবন্দরে। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিল বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে স্বাগত জানাতে। গোটা ঢাকা যেন পরিণত হয় জনসমুদ্রে। দীর্ঘ প্রবাস জীবন ছেড়ে আটপৌঢ়ে গৃহবধূ শেখ হাসিনা ছুটে এসেছিলেন বাংলামায়ের কোলে।

প্রত্যাবর্তনের দিন বিমানবন্দরে নেমেই শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আজ আমি এসেছি বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে। আমার আজ হারানোর কিছু নেই।’

সেই যে পথ চলা। আর থামেনি। বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনিতে প্রবাহিত, তারে দমায় সাধ্য কার? দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেন বিশ্বজয়ের খেলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। 

নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা আজ বিশ্বদরবারে নয়া মোড়কে হাজির করেছেন বাংলাদেশকে। ইস্পাতসম মনোবলে চলছেন হাজারো জরা-জীর্ণতাকে পায়ে মাড়িয়ে। 

Advertisement

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার যেকোন দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসা করছেন বিশ্বনেতারা। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়েছেন শেখ হাসিনা। সীমান্ত চুক্তি আর সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের দুটি বড় অর্জন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশ্বস্বীকৃত। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ আর আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আজ আপসহীন নেতা।

দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্র আর বাধা উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে বৈশ্বিক আলোচনা-সমালোচনাতেও গুরুত্ব পাচ্ছেন আওায়মী লীগের সভানেত্রী। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশে যেন সোনা ফলাচ্ছেন তারই তনয়া শেখ হাসিনা।

এএসএস/এমএআর/আরএস