বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যারা পদ্মা সেতুর প্রশ্ন তুলে সরকারকে হেয় করতে চেয়েছিল, দেশের সুনাম দেশে-বিদেশে ক্ষুণ্ন করেছে তারা দেশের শত্রু; তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। এর আগে জাতীয় পার্টির এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ পদ্মা সেতু নিয়ে কানাডার আদালতের দেয়া রায় নিয়ে বক্তব্য রাখেন।এরপর তোফায়েল বলেন, জাতীয় সংসদের সব সদস্যের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই। তিনি বিজয়ী হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যেমন কারও কাছে মাথা নত করেননি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও বলেছিলেন- আমি কারও কাছে মাথানত করবো না। আমি বিশ্বব্যাংকের কাছে মাথা নত করবো না। সেটা তিনি করেননি। নিজের অর্থায়নে আজ পদ্মা সেতু হচ্ছে। যেটা দৃশ্যমান।তিনি বলেন, যমুনা সেতুর স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এ বিষয়ে সেই সময় জাপানের সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পর শেখ হাসিনা সেদিন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, তিনি একজন দেশপ্রেমিক। আজকে এই সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই আবুল হোসেন সত্যিকার অর্থেই দেশপ্রেমিক। কারণ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।মন্ত্রী আরও বলেন, এ নিয়ে কানাডার আদালতে ২০১৩ সালে মামলা হয়। এর রায় বের হয়েছে। এই মামলাটি মিথ্যা। আদালত বলেছেন, যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে তা গুজবের ভিত্তিতে।তোফায়েল বলেন, একজন ব্যক্তির টেলিফোনে আড়িপাতা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কানাডার পুলিশ অভিযোগ দাঁড় করেছিল। যিনি নিজেও পদ্মা সেতুর টেন্ডারে বিট করেছিলেন এবং দুর্নীতির মাধ্যমে কাজটি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যেই লোকটা কাজ পেতে চেয়েছিল সেই অভিযোগ করেছে। এটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র।তিনি বলেন, নাম উল্লেখ না করে কাজী ফিরোজ রশীদ সঠিক কথাই বলেছেন। আমাদের দেশে কিছু লোক আছে যখন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয় সেটাকে তারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়।তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজকে যারা রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কথা বলেন সেদিন তারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেছিলেনএইচএস/বিএ/পিআর
Advertisement