সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের উভয় শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম কমার পাশাপাশি বড় অঙ্কের লেনদেন কমেছে।দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০৮ পয়েন্ট কমেছে। আর সিএসইতে সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ২১০ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৪৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ১৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা কম। এ নিয়ে বাজারটিতে টানা ৮ কার্যদিবস লেনদেন কমলো।মূলত গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকেই বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছে। মুদ্রানীতি ঘোষণার দিন বড় দরপতন ঘটে শেয়ারবাজারে। পরের দুদিন সূচক কিছুটা বাড়লেও কমে যায় লেনদেনের গতি। আর দুদিন সূচক কিছুটা বাড়ার পর বৃহস্পতিবার আবারও বড় দরপতন ঘটলো।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের দরপতনের সঙ্গে মুদ্রানীতির কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কিছুই মুদ্রানীতিতে নেই। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী জাগো নিউজকে বলেন, মুদ্রানীতির সঙ্গে দরপতনের কোনো সম্পর্ক নেই। বাজারে উত্থান-পতন থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে মুদ্রানীতি ঘোষণার পর যেভাবে দরপতন হচ্ছে সেটা স্বাভাবিক নয়। এই দরপতনের আগে যেভাবে বাজার উঠেছিল সেটাও ঠিক ছিল না। বাজারে একটানা দরপতন যেমন ভালো না, তেমনি টানা উত্থান প্রবণতাও ভালো না।বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মূল্য সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের নিম্নমুখিতাও বাড়তে থাকে।এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৭৩টি শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। অন্যদিকে দাম বেড়েছে মাত্র ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির দাম।টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির ৩১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ২৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইফাদ অটোস, আরএসআরএম স্টিল, সাইফ পাওয়ার, ন্যাশনাল ব্যাংক, অ্যাপোল ইস্পাত, এক্সিম ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ২১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৩ পয়েন্টে। ৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪২টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ২০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির।এমএএস/আরএস/জেআইএম
Advertisement