পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ কোনোভাবেই ঋণ গ্রহণ করবে না। ঝুঁকি মোকাবেলায় অনুদান দিতে হবে। আর এই অনুদান বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেয়া যথাযথ হবে না।বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়।হাছান মাহমুদ বলেন, প্যারিস সম্মেলনে চুক্তি হলেও ক্ষতিপূরণের অর্থ কীভাবে প্রদান করা হবে সে বিষয়ে মরক্কো সম্মেলনে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরতে হবে।কমিটির সভাপতি বলেন, শরণার্থীর সংজ্ঞায় জলবায়ু উদ্বাস্তুর কথা নেই। সেখানে বিষয়টি যুক্ত করতে হবে। কারণ বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা বাড়ছে।তিনি আরো বলেন, উন্নত দেশগুলো কার্বন ড্রাই অক্সাইড নিঃসরণ প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু করবে তা এই সম্মেলনে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। বাংলাদেশের পক্ষে এ বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরার জন্যও বলা হয়েছে। এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা সভা করার জন্য বলা হয়েছে।দেশের রাবার শিল্প সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সত্ত্বেও দেশীয় রাবারের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়নি। রাবার আমদানিকারক সিন্ডিকেটের কারণে এমনটি হচ্ছে। বর্তমানে ৫ হাজার মেট্রিক টন রাবার পড়ে আছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মোছা. গোলাম রাব্বানী, টিপু সুলতান, মো. ইয়াসিন আলী ও মেরিনা রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এইচএস/আরএস/পিআর
Advertisement