চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একে অপরকে সমর্থন ও পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করতে একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে চুক্তি ও সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরকালে তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এই মাত্র আমরা ২৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হতে দেখলাম। ‘ওয়ান-বেল্ট, ওয়ান রোড’ চায়না নীতিতে আমরা পুনরায় সমর্থন ব্যক্ত করেছি। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একে অপরকে সমর্থন ও পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করতে আমরা একমত হয়েছি।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কৃষি খাতে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে আমরা ঐক্যমত্য হয়েছি।’
Advertisement
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ২৬টি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। যা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, বিনিয়োগ, সমুদ্র অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ কারিগরি প্রশিক্ষণ বিষয়ক। এছাড়া আরো ছয়টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই চুক্তি সাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় এবং ঘনিষ্ট হয়েছে। দু’দেশই সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিয়ে এগিয়ে যাবে।তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের বাংলাদেশের বাস্তবায়ন।এর আগে উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কর্ণফূলী টানেল নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও চীন। এর মধ্যে ১২টি ঋণ ও বাণিজ্য চুক্তি, বাকিগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক রয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে দুই নেতা একান্ত বৈঠক করেন এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদল দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন।এইউএ/আরএস/এমএস
Advertisement