সিলেট এবং মেঘালয়ের মধ্যে অবস্থিত আন্তঃসীমান্ত নদী উৎমা নদী বা উৎমা ছড়া। দৈর্ঘ আনুমানিক ৩৩ কিলোমিটার। অনেকটা বিছনাকান্দির মতো। এই নদী পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার চেরাপুঞ্জি মৌসিনরাম সংরক্ষিত বনভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।
Advertisement
বাংলাদেশের ভেতরে মাত্র ৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে দক্ষিণে পিয়াইন নদীতে পতিত হয়েছে। উৎমা ছড়ার চারপাশে সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের প্রলেপ, গাছপালা আর ঝোপঝাড় দিয়ে ভরা। পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলেছে শীতল স্বচ্ছ জলরাশি।
উৎমা ছড়া সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণিখাই ইউনিয়নে অবস্থিত। ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা সিলেটের সীমান্তবর্তী এক নদের নাম ধলাই। মেঘালয় পাহাড়ের ঝরনার পানি এই নদের জলপ্রবাহের উৎস। ধলাই নদের উৎসমুখই হচ্ছে সাদাপাথরের রাজ্য।
আরও পড়ুন
Advertisement
পাহাড়ি ঢলে উৎসমুখে ৫ একর জায়গাজুড়ে পড়েছে পলির মতো করে সাদা পাথরের স্তূপ। রূপ-লাবণ্যে যৌবনা উৎমা ছড়া পরতে পরতে সাজিয়ে রেখেছে সৌন্দর্য। পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের আস্তরণ। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে উৎমা ছড়া।
জায়গাটিকে সিলেটের নতুন ‘বিছনাকান্দি’ বলা হয়। বর্ষাকালেই বেশি উপভোগ্য। বর্ষার সময় উৎমা ছড়ার সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি ধরা দেয়। অন্য মৌসুমে মরুভূমির বুকে গজিয়ে ওঠা উদ্যানের মতো মনে হয়। যে দিকেই যাবেন শুধু পাথর আর পাথর। সেসব পাথরের কোনোটাতে মোটা ঘাসের আস্তরণ, কোনোটা ধবধবে সাদা।
তাই সময়-সুযোগ পেলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন। এমনকি ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর দেখতে গেলে উৎমা ছড়া না দেখে আসবেন না। এখনই এখানে ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত অনায়াসেই ভ্রমণ করতে পারবেন। ডিসেম্বরের পর সৌন্দর্য কিছুটা কমে আসতে পারে। অর্থাৎ বর্ষাকালেই জায়গাটি সতেজ থাকে।
এসইউ/এমএস
Advertisement