পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল ও শেরপা তাশি গ্যালজেনের এভারেস্ট অভিযানের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ১৩ জুলাই শেষ হয়েছে। ১১ জুলাই রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ৩ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়েছিল।
Advertisement
‘সাগর থেকে শিখরে’ শিরোনামের এ প্রদর্শনীতে ৩ দেশের সমতল থেকে পাহাড়ি জীবন, নৈসর্গিক হিমালয় ও অভিযানের বিভিন্ন আলোকচিত্র স্থান পায়। এতে ১১৫টি আলোকচিত্র স্থান পায়। এর মধ্যে শাকিলের ৯৯টি ও তাশি গ্যালজেনের ১৬টি ছবি ছিল।
ইকরামুল হাসান শাকিল কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি শুরু করে ১ হাজার ৩৭২ কিলোমিটার হেঁটে ২৯ এপ্রিল এভারেস্ট বেজ ক্যাম্পে পৌঁছান। তিনি অভিযানের গাইড তাশি গ্যালজেন শেরপার সঙ্গে এভারেস্ট শিখরে আরোহণ করেন ১৯ মে।
এর আগে তিনি ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইল’ ট্রেকিং করেছেন। হিমালয়ের একটি ৭ হাজার মিটার চূড়া ও দুটি ৬ হাজার মিটার চূড়ায় আরোহণ করেছেন। গ্যালজেন একই মৌসুমে মাত্র ১৫ দিনে চারবার এভারেস্ট শিখর আরোহণ করে বিশ্বরেকর্ড করেন।
Advertisement
১১ জুলাই প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নেপালি দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ললিতা শিলওয়েল। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। সেই সঙ্গে নেপাল-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর করবে।’ উদ্বোধন শেষে তিনি আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
এভারেস্ট বিজয়ী এম এ মুহিতের সভাপতিত্বে প্রদর্শনীতে অ্যান্টার্কটিকা ও সুমেরু অভিযাত্রী ইনাম আল হক বিশেষ অতিথি ছিলেন। এ ছাড়া প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু উপস্থিত ছিলেন।
দর্শনার্থী জিপসি নাঈম বলেন, ‘৭ম বাংলাদেশি এভারেস্ট জয়ী শাকিল ভাই যখন জানালেন, তার হিমালয় অভিযানের চিত্রপ্রদর্শনী হচ্ছে, আমি লাফ দিয়ে উঠলাম। সময়-সুযোগ করে যেতেই মনে হলো বাংলার মাটিতে যেন উঠে এসেছে এক টুকরো এভারেস্ট।’
পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল বলেন, ‘এতদিন যারা আমার এভারেস্ট জয়ের গল্প শুনেছেন; এ প্রদর্শনী তাদের জন্য। প্রদর্শনীর মাধ্যমে পুরো যাত্রার গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সবাই অনেক আনন্দিত হয়েছেন।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম