বিনোদন

কেউ মনে রাখেনি জিয়া সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি দিলদারকে

কেউ মনে রাখেনি জিয়া সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি দিলদারকে

অভিনয়ে তিনি ছিলেন অনন্য এক প্রতিভা। বিশেষ করে কৌতুকে তার জুড়ি ছিল না। সিনেমায় দিলদারের উপস্থিতি মানেই দারুণ কিছু। তিনি হাসলে দর্শক হাসতেন। দর্শক সবচেয়ে বেশি কাঁদতেনও তখন, যখন দিলদার পর্দায় কষ্ট পেতেন। দুর্দান্ত এই অভিনেতার প্রয়াণের ২২ বছর আজ।

Advertisement

সময়ের স্রোতে ভেসে অনেক বছর কেটে গেছে তিনি নেই, তবে দিলদার দর্শকের কাছে আজও রঙিন আর প্রাণবন্ত। তবে তার কাজের জায়গায় তিনি যেন ম্লান অনেকটাই। এফডিসি কিংবা সিনেমা সংশ্লিষ্ট কোথাও নেই তিনি। তাকে ঘিরে নেই কোনো আয়োজনও। জীবদ্দশায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন দিলদার। দলটির সাংস্কৃতিক সংগঠন জিয়া সাংস্কৃতিক সংসদের (জিসাস) সভাপতি ছিলেন তিনি। সময় এখন বিএনপির। জিসাসও বেশ উজ্জীবীত। তবে সেখানেও দিলদারকে নিয়ে কোনো আয়োজনের খবর পাওয়া যায়নি।

স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে অভিনেতা দিলদার

বছর দুয়েক আজে এই অভিনেতার ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ জাগো নিউজকে বলছিলেন, ‘আব্বা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরেও অনেকেই খোঁজ খবর রাখতেন। কিন্তু এখন মিডিয়ার কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই আমাদের। বিশেষ করে কৌতুক অভিনেতা আনিস আঙ্কেল বাবার অনেক কাছের বন্ধু ছিলেন। আমাদের সাথে তার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তিনি খোঁজ রাখতেন। এছাড়া নায়ক মান্নাও আমাদের টুকটাক খবর নিতেন। এখন কেউ খোঁজ নেয় না। তবে আব্বা বিএনপি’র জিসাস (জিয়া সাংস্কৃতিক সংসদ)’র সভাপতি ছিলেন। মারা যাওয়ার পর প্রথম তিন-চার বছর সংগঠনটি আব্বার মৃতুবার্ষিকী পালন করতো। আজকাল আর কেউ মনে রাখে না।’

Advertisement

দিলদার হোসেন ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরের মতলবে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ‘কেন এমন হয়’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ের পা রাখেন তিনি। এরপর প্রায় পাঁচ শতাধিক সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই মাত্র ৫৮ বছর বয়সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন দিলদার। ঢাকার ডেমরায় অবস্থিত সারুলিয়া এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। সেখানেই ৫তলা ভবনে বাস করে তার পরিবার। ১৯৯৪ সালে এই বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন দিলদার।

এলআইএ/এমএস