বিনোদন

প্রযোজককে অপহরণ-মারধর, বিচার চেয়ে মানববন্ধন

প্রযোজককে অপহরণ-মারধর, বিচার চেয়ে মানববন্ধন

পূর্বশত্রুতার জের ধরে অপহরণ ও মারধর করা হয়েছিল চলচ্চিত্র প্রযোজক মো. রাশেদুল ইসলামকে। গত ২৭ জুনের ওই ঘটনার পর অভিযুক্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন করেছেন রূপগঞ্জের ইসাপুর বাজার এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

আজ (৩ জুলাই) বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্বাচলের ইউসুফগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অপহরণকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ওই স্কুলের শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও রাশেদের পরিবার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ওই মানববন্ধনে উপস্থিত রাশেদ জানান, গত শুক্রবার তাকে অপহরণ করে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে অপরাধীরা। পাশাপাশি বাদী হিসেবে তার করা পুরোনো একটি মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করে।

মানববন্ধনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমরা তাদের হয়রানির শিকার। বিভিন্ন সময় হুমকি দিলেও আমরা মামলাটি চালিয়ে আসছিলাম। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা আমাকে অপহরণ করে এবং মারধর করে।’ রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেল মিয়াসহ চক্রের ছয় সদস্য হলেন শান্ত, রনি, শিপলু, সাব্বির ও রনি। তারা বর্তমানে কারাগারে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলশিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে একটি গ্রুপ। ধর্ষণের শিকার ওই শিশু সম্পর্কে রাশেদের ভাতিজি। ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন রাশেদ এবং মামলাটি এতকাল ধরে চালিয়ে আসছিলেন। পুরোনো মামলা প্রসঙ্গে রাশেদ বলেন, ‘২০১৮ সালে ওদের নামে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করি। সেই মামলা তুলে না নেওয়ায় আমাকে অপরহণ করা হয়। মামলা তুলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল তারা। মামলা তুলে না নেওয়ায় গত শুক্রবার দুপুরে পূর্বাচল ১৩ নম্বর সেক্টরের অফিস থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর আমার পরিবারের কাছে ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।’

Advertisement

গত ২৭ জুন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল এলাকা থেকে প্রযোজক ও ব্যবসায়ী রাশেদকে অপহরণ করা হয়। খবর পেয়ে রাশেদের পরিবার দ্রুত পূর্বাচল সেনাক্যাম্পে অভিযোগ করে। এতে অপহরণকারীরা চাপে পড়ে যায় এবং রাশেদকে ‘আওয়ামী লীগ কর্মী’ পরিচয়ে রূপগঞ্জ থানায় সোপর্দ করার চেষ্টা করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উভয় পক্ষকে হেফাজতে নেয়। অপহরণের সত্যতা পাওয়ায় ওই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

মো. রাশেদুল ইসলাম ‘নিশ্চুপ ভালোবাসা’ নামে একটি সিনেমা প্রযোজনা করেছেন। পাশাপাশি বেশ কিছু নাটক, সিনেমা এবং মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। সালমান শাহর অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমা ‘স্বপ্নের ঠিকানা’র নামানুসারে কয়েক বছর আগে একটি শুটিংবাড়ি নির্মাণ করেন রাশেদ। সেখানে নিয়মিত নাটক-সিনেমার শুটিং হয়। তাকে অপহরণের ঘটনায় চলচ্চিত্রপাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এমআই/আরএমডি/জেআইএম

Advertisement