জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, এ নির্বাচন সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
Advertisement
‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) নীলফামারীতে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে সৈয়দপুরে শহীদ সাজ্জাদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনো অনলাইনে সরব। তারা ঘাপটি মেরে দেশেই রয়েছে। এ কারণে আমাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। গতকালও এনসিপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তাদের ধরে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ পরাজিত শক্তি নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় এমন অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে? সরকারও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ।’
Advertisement
পরাজিত শক্তির রেখে যাওয়া পুরোনো বন্দোবস্ত পরিবর্তন করা ছাড়া কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না মন্তব্য করেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, যত দ্রুত এক্ষেত্রে সংস্কার হবে, তত তাড়াতাড়ি দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। আমরা জুলাই পদযাত্রার মাধ্যমে যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে জনগণের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করেই ছাড়বো।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে সংবিধান বদলাতে হবে। কারণ বর্তমান সংবিধান আওয়ামী সংবিধান। এটার পরিবর্তন ছাড়া ফ্যাসিবাদ নির্মূল হবে না। ফ্যাসিস্ট বিদায় হলেও ফ্যাসিবাদী তন্ত্র এখনো জেঁকে বসে আছে রাষ্ট্রযন্ত্রে।’
তিনি বলেন, গত ফ্যাসিস্ট আমলে নীলফামারীর মানুষ উন্নয়নবঞ্চিত। এখানে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জেলার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। এজন্য এনসিপির পক্ষে দলমত নির্বিশেষে সবার সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।
একই পথসভায় উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘দেশে আমরা আর চাঁদাবাজি দেখতে চাই না, দখলদারত্ব দেখতে চাই না। কোনো লুটপাট দেখতে চাই না। আমরা কোনো সরকারি অফিসে দাসত্বের মতো ব্যবহার দেখতে চাই না। টাকা ছাড়া কাজ হয় না, এমন কোনো সরকারি অফিসে দেখতে চাই না। সবার সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে সুন্দর, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
Advertisement
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম, মুনিরা শারমিন, জ্যেষ্ঠ সদস্য সচিব তাসনিম জারা, নাহিদ সারোয়ার নিভা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়কারী আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিউনসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।
আমিরুল হক/এসআর/জেআইএম