আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা সূচক কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে আবেদন না করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে জবি শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)।
Advertisement
শুক্রবার (২৭ জুন) জবি শাখা বাগছাসের মুখপাত্র কামরুল হাসান রিয়াজের সই করা এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অবস্থান পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত কোনো আবেদনই করা হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। এটি শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং এটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর শিক্ষার্থীদের স্বার্থের প্রতি চরম অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার প্রকাশ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে ৯ সূচকের তিনটিতে ঢাবির অর্জন শূন্য কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে ঢাবি-নর্থ সাউথের অবনতি, আগের অবস্থানে বুয়েটবিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিউএস র্যাংকিংয়ে আবেদন না করা মানে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রতিযোগিতার বাইরে রাখা, যা এক ধরনের অপরাধ হিসেবেই বিবেচ্য। এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ফলে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা, স্কলারশিপ, গবেষণার সুযোগ ও ক্যারিয়ার ভবিষ্যৎ বিপন্ন হচ্ছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- এই অপরাধমূলক গাফিলতির দায় যিনি বা যারা নিয়েছেন, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া চলবে না।
Advertisement
ছাত্রসংগঠনটি এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্রসংসদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি- সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শিক্ষার্থীদের সামনে জবাবদিহি করতে হবে। কোনোভাবেই এই অপরাধমূলক গাফিলতির দায় এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।’
তারা আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘যদি অবিলম্বে এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তীব্র আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’
বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, শিক্ষার মান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও একাডেমিক প্রভাব বিবেচনায় প্রতিবছর কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়। এতে স্থান পাওয়া অনেকটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নতির স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
টিএইচকিউ/কেএসআর/এএসএম
Advertisement