জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটক দিয়ে দর্শকপ্রিয়তা পেলেও অভিনয়শৈলী দেখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। এই অভিনেত্রীর সিনেমায় অভিষেক ঘটে ২০১৮ সালে ‘দেবী’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। ছবিতে তার চরিত্রটি বেশ প্রশংসিত হয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই আগের চেয়ে কাজ কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি সরব থাকেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রায় সময়ই বিভিন্ন স্ট্যাটাসে নিজের অনুভূতি বা মতামত শেয়ার করেন ফারিয়া। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) একটি স্ট্যাটাস দেন এই অভিনেত্রী। সেখানে লেখেন, ‘এভাবেই জীবন আমাদের সাথে অদ্ভুতভাবে খেলার সুযোগ করে দেয়... আমাদের ধৈর্য, শক্তি, এমনকি আমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষা নেয়। কিছু মানুষ ভাগ্যবান হয় যে তারা জীবনের পরীক্ষাগুলো সহজেই পাশ করে। আর আমার মতো মানুষও আছে, হয়তো আল্লাহ আমাদের অন্যভাবে ভালোবাসেন। হয়তো তিনি আমাদের আরও অগ্নি পরীক্ষা করেন।’
Advertisement
জীবনের আনন্দময় বিষয় নিয়ে অভিনেত্রী বলছেন, ‘আপনি জানেন, সুখ বা হ্যাপিনেস সবার কাছে আলাদা আলাদাভাবে ধরা দেয়। কারো কাছে এটা সম্পদ, কারো কাছে এটা ক্ষমতা। কিন্তু আমার কাছে? এটা সবসময়ই ভালোবাসা ছিল।
আমার পরিবারের কাছ থেকে ভালোবাসা, বন্ধুদের কাছ থেকে ভালোবাসা, অপরিচিতদের কাছ থেকে ভালোবাসা, বিশেষ কারো কাছ থেকে ভালোবাসা।’
নিজে সাধারণ জীবন করেন উল্লেখ করে ফারিয়া বলেন, ‘আমি খুব সাধারণ জীবনযাপন করি। মুদি দোকান, রাস্তার খাবার, সাধারণ পোশাক পরা, এসব আমি। আমি কখনও তথাকথিত ‘সেলিব্রিটি’ জীবন পাইনি। হয়তো আমি কখনও তাদের একজন ছিলামই না। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে আমার পেশাগত জীবন পর্যন্ত, আমি কখনোই অসাধারণ ছিলাম না।
Advertisement
সবসময়ই একজন সাধারণ মানুষ ছিলাম। কিন্তু আমি আলাদা ছিলাম। আমার চিন্তাভাবনা কখনোই একাধিক মানুষের সাথে মেলেনি। আমার কাছে, জীবন সবসময়ই সহজ ছিল। হয় কালো, অথবা সাদা। আমি কখনই জানতাম না কিভাবে ধূসর রঙে টিকে থাকতে হয়।’
ভালোবাসা সন্ধানী ফারিয়া বলেন, ‘তবুও জীবন যতই সরল মনে হোক না কেন, আমার হৃদয় সবসময় একটি জটিল জিনিস খুঁজত, ভালোবাসা। সত্যিকারের ভালোবাসা। এমন একটা জিনিস যেখানে কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার বোকা বোকা গল্প শুনবে। ইতিহাস, রাজনীতি, সিনেমা নিয়ে আপনার সাথে বিতর্কে মেতে উঠবে। আপনার ত্রুটিগুলো জেনেও সে আপনার সঙ্গেই থাকবে।’
ফারিয়ার জীবনে ভালোবাসার উপস্থিতি কেমন, সেটা তিনি নিজেই বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কিন্তু ভালোবাসা, সত্যিকারের ভালোবাসা, আমার জীবনে খুবই প্রশ্নবোধক। অথবা হয়তো সবচেয়ে বড় হতাশা। সত্যি বলতে, আমার রুচি খুবই খারাপ! এখন যখন আমি পেছনে ফিরে তাকাই, তখন এটা হাস্যকর লাগে। আমি হয়তো শেষ পর্যন্ত বেছে নেই জোরে কথা বলা, আত্মমগ্ন পুরুষদের। যারা নিজেদের নিয়ে গর্ব করতে ভালোবাসে। অথবা শান্ত, মেধাবী, আবেগীয়ভাবে সহজলভ্য নয়, আসক্ত!’
শেষবেলায় তিনি লেখেন, ‘কয়েকটি ব্যর্থ সম্পর্ক এবং কয়েকবার মন ভাঙার পর আমি বুঝতে পারলাম যে যা খুঁজছিলাম তার হয়তো অস্তিত্বই নেই। হয়তো আমি অনেক উপন্যাস পড়েছি, অনেক কোরিয়ান নাটক দেখেছি, যার ফলে আমার মাথায় একটি কাল্পনিক চরিত্র তৈরি হয়েছে। আর বাস্তব জীবনে? আমার পছন্দগুলো ছিল.... আচ্ছা, ধরা যাক, বিপর্যয়কর। কিন্তু তবুও, আমার ভেতরের আশাহীন রোমান্টিক সেই ব্যাপারটি টিকে আছে, নীরবে। একদিন সে বাধা না দিয়ে শুনতে শিখবে।’
Advertisement
এমআই/এলআইএ/জিকেএস