ইরানের সঙ্গে সব সীমান্ত ক্রসিং অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। সোমবার (১৩ জুন) পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
বেলুচিস্তান প্রদেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কাদির বখশ পিরকানি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, চাগাই, ওয়াশুক, পাঞ্জগুর, কেচ ও গাদার- এই পাঁচ জেলার সব সীমান্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের এই পাঁচ জেলার সঙ্গে ইরানের সীমান্ত ক্রসিং রয়েছে।
চাগাই জেলার সীমান্ত কর্মকর্তা আতাউল মুনিম বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে কোনো পাকিস্তানি ইরানে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ইরান থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফেরার সুযোগ থাকছে। অন্যদিকে, বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
আতাউল মুনিম আরও জাানান, সোমবার (১৬ জুন) ইরান থেকে প্রায় ২০০ জন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ফেরার কথা রয়েছে।
Advertisement
এদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার রোববার জানিয়েছিলেন, ইরান ও ইরাক থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫০ জন পাকিস্তানি হজযাত্রীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ও আরও ফেরত আসার প্রক্রিয়া চলমান। ইরান ও ইরাক উভয় দেশই শিয়া মুসলিমদের পবিত্রতম স্থানগুলোর পুণ্যভূমি।
শুক্রবার (১৩ জুন) পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়। ইসলামাবাদ ও তেহরান- উভয়ই ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
সোমবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের পরমাণু শক্তি নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। তাদের পারমাণবিক কর্মকাণ্ডে কোনো শৃঙ্খলা নেই।
সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান ও শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটারেরও বেশি সীমানা রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক বরাবরই জটিল। পাকিস্তান একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তেমনি সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার কৌশলও অনুসরণ করে।
Advertisement
বর্তমানে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার, যা আগামী কয়েক বছরে ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
এসএএইচ