দায়িত্ব পালনকালে দুই বিএসএফের জওয়ানের মধ্যে বচসা, চললো গুলি। সেই গুলিতে মৃত্যু হল এক বিএসএফ কনস্টেবলের।
Advertisement
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, মৃত জওয়ানের নাম রতন লাল সিং, বয়স ৪০ বছর। তার বাড়ি ভারতের রাজস্থানে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ঘাটি এলাকায়।
জানা যায়, গত এপ্রিল মাসে বিতর্কিত সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে গোটা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছিল। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, জাফরাবাদেও সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটে। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ভারতীয় সীমান্তবর্তী বাহিনীকে পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারাও দাবি তুলেছিলেন, এসব এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্প বসাতে। সেই মোতাবেক বিএসএফ ক্যাম্প বসে। সেখানেই গুলি চলে।
Advertisement
আরও জানা যায়, ১১৯ নম্বর ব্যাটেলিলিয়নের জওয়ান ছিলেন রতন লাল সিং। ধুলিয়ানের শ্মশান সংলগ্ন পাহাড়ঘাটি এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্পে কর্মরত অবস্থায় তার সহকর্মীর সঙ্গে বচসা হয়েছিল। আর সেই বচসার জেরে অভিযুক্ত জওয়ান রতন লাল সিংকে লক্ষ্য করে পরপর ছয়টি গুলি ছোড়েন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন।
এদিকে, বিএসএফ জওয়ানের গুলি লাগার খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শামশেরগঞ্জের পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্ত জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে তারা। হত্যাকাণ্ডের কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ কর্মকর্তা এন কে পাণ্ডে জানান, অভিযুক্ত এবং মৃত কনস্টেবল শামশেরগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিযুক্ত ছিলেন। এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। ঠিক কী ঘটেছে তা শামশেরগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে জানানো হবে।
Advertisement
ডিডি/কেএএ/