মৌলভীবাজারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।
Advertisement
শনিবার (৭ জুন) রাতে সদর উপজেলার শ্যামের কোনা এলাকায় মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে জুবেদ মিয়া (২৮) ও কমরুল মিয়া (৩০) নিহত হন। এসময় মাহবুব মিয়া গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আহমেদ ফয়সাল জামান বলেন, দুজন মারা গেছেন, আর একজনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বড়লেখায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাহেদ হোসেন সুমন (২৬) ও রুমন আহমদ (২২) নামে দুই ভাই নিহত হয়েছেন।
Advertisement
শনিবার বিকেলে উপজেলার কাঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও গাড়িটি জব্দ করে পুলিশ।
নিহত সুমন ও রুমন বড়লেখা পৌরসভার মহুবন্দ গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে কোরবানির গরুর মাংস শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিতে ছোট ভাই রুমনকে নিয়ে মোটরসাইকেলে দক্ষিণভাগের দিকে যাচ্ছিলেন সাহেদ। বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক সড়কের কাঠালতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই সাহেদ মারা যান এবং রুমন আহত হন। স্থানীয় লোকজন রুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
Advertisement
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম সরকার বলেন, কার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আপন দুই ভাই নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর প্রাইভেটকার চালক পালিয়ে গেছেন। তবে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
ওমর ফারুক নাঈম/জেডএইচ/জেআইএম