‘অন্য সময়ে ২৫০-৩০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও এখন প্রত্যেকটি টিকিটের জন্য ৮০০-১০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আবার পথে পথে যাত্রীও তোলা হচ্ছে।’
Advertisement
বলছিলেন ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ ফেরা রবিউল ইসলাম নামে এক যাত্রী। তার মতো অন্য আরও অনেক যাত্রী পথে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ করেছেন।
যাত্রীরা বলছেন, পরিবহন সংশ্লিষ্টরা ঈদ বখশিশ আখ্যা দিয়ে কখনো বাস খালি যাবে আসবে এমন নানা অজুহাতে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। বাড়তি ভাড়া নিলেও টিকিটে সেটি লেখা হচ্ছে না। ফলে যাত্রীদের কাছে বাড়তি ভাড়ার কোনো প্রমাণ থাকছে না।
শুক্রবার (৬ জুন) দুপুর ৩টার দিকে ঢাকার গাবতলী থেকে সিরাজগঞ্জে ফেরা পোশাক শ্রমিক লিটন শেখ জাগো নিউজকে জানান, ভোর ৭টায় বগুড়ার ‘হাসান এক্সপ্রেস’ নামের পরিবহনে রওনা হয়ে যমুনা সেতু পশ্চিম কড্ডার মোড়ে পৌঁছান। ভাড়া হিসেবে তাকে গুণতে হয়েছে ৮০০ টাকা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এই পথে ২৫০ টাকায় যাতায়াত করা যায়।
Advertisement
ঢাকা থেকে ফেরা আরও কয়েকজন যাত্রী একইরকম অভিযোগ করেন। তারা এটিকে এক জুলুম বলে দাবি করেন।
তবে বখশিশের নামে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নিয়ে পরিবহন মালিকরা বলছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকেন, তাদের অভিযোগ করতে বলেন। তারাই ব্যবস্থা নেবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জে আসতে পথে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে সেই বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে কিছুই লেখা থাকছে না টিকিটে। ফলে যাত্রীরাও তা প্রমাণ করতে পারছেন না। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এটা এক প্রকার চালাকি। যাতে যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট কাউকে অভিযোগ করতে না পারেন।
ঈদের পূর্ব মুহূর্তে যমুনা সেতু পশ্চিম কড্ডা ও হাটিকুমরুল এলাকায় বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদযাত্রায় ঢাকা ছেড়েছেন তারা। তবে যমুনা সেতুর পূর্ব পাড়ে যানজট থাকায় অনেক ভোগান্তি ও দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
Advertisement
বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এক বাসচালক জানান, ঈদের সময় তাদের ট্রিপ কমে যায়। আগে যেখানে দিনে চারটি ট্রিপ দিতে পারতেন, এখন সেটা একটায় নেমে এসেছে। এ জন্য ভাড়া কিছুটা বাড়তি রাখা হচ্ছে।
এদিকে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এম এ মালেক/এমএন/এমএস