দেশজুড়ে

ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-বাসের ছাদে বাড়ি ফিরছে মানুষ

ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-বাসের ছাদে বাড়ি ফিরছে মানুষ

একদিন পরই ঈদ। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে তীব্র যানজটের মধ্যেই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। সড়কে গণপরিবহনের সংকট ও বাড়তি ভাড়ার কারণে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদ, ট্রাক ও পিকআপভ্যানে বাড়ি ফিরছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকেই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। যাত্রীরা যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, বিভিন্ন সড়কের লোকাল বাস, লেগুনায় গন্তব্যে যাত্রা করেছেন। মহাসড়কে বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল বেশি দেখা গেছে। এদিকে গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেকে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে উঠে বাড়ি ফিরছেন।

এদিকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে যাত্রী ও চালকদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে।

Advertisement

খোলা ট্রাকে যাওয়া যাত্রী আব্দুল মালেক জাগো নিউজকে বলেন, বাস না পেয়ে ট্রাকেই বাড়িতে যাচ্ছি। আবার দুই একটি গাড়ি পেলেও দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের যাত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, বাস না পেয়ে ট্রাকে করে যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পাররো এটাই বড় আনন্দ। অনেকেই বাস না পেয়ে ট্রাক ও পিকআপে করে যাচ্ছে। বাসে দ্বিগুণ ভাড়া চাচ্ছে। এজন্য ট্রাকে করে যাচ্ছি।

আরেক যাত্রী নুরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ঈদ করতে বাড়িতে রংপুর যাচ্ছি। বাস না পেয়েই ট্রাকে করে ঝুঁকি নিয়েই বাড়িতে যাচ্ছি৷ এতে ভাড়াও কম লাগছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশ নিরসলভাবে কাজ করছি।

Advertisement

আব্দুল্লাহ আল নোমান/এমএন/এমএস