দেশজুড়ে

জমে উঠলেও ক্রেতা নেই সাতমাইল পশুর হাটে

জমে উঠলেও ক্রেতা নেই সাতমাইল পশুর হাটে

জমে উঠলেও যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইল পশুর হাট। ব্যাপক প্রস্তুতি থাকলেও হাটে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভালো বিক্রি হবে এম প্রত্যাশা বিক্রেতাদের।

Advertisement

প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৪ হাজার ২২৬টি গবাদিপশু। যার মধ্যে গরু ১০ হাজার ২০০টি, ছাগল তিন হাজার ৭৬টি ও মহিষ ৯৫০ টি। যদিও চাহিদা রয়েছে ১২ হাজার ৭২৬টি পশুর।

সূত্র জানায়, উপজেলায় ছোট-বড় মিলে এক হাজার ১৩১টি পশু খামার রয়েছে। এরমধ্যে রেজিস্ট্রেশন করা বড় খামার রয়েছে ১৫টি। অন্যগুলো কৃষক পর্যায়ের খামার। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শার্শার সাতমাইল পশু হাটে প্রচুর পরিমাণে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন ধরনের পশু বেচাকেনা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সাতমাইল পশুর হাটে বিক্রিত পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও গরুর গর্ভ পরীক্ষা, অসুস্থ পশুর চিকিৎসা করা হচ্ছে। এ ছাড়া পশু হাটে কৃত্রিমভাবে নিষিদ্ধ মোটাতাজা করা পশু বাজারজাত না করার জন্যও মনিটরিং করা হচ্ছে।

Advertisement

সাতমাইল হাটে আসা সেলিম রেজা নামের এক খামারি বলেন, ‘যদিও ক্রেতার সংখ্যা কম। আমরা সারাবছর কয়েকটি গরু পালন করেছি। এবার হাটে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, এখানকার পশুগুলো সুস্থ ও উন্নত। দামও তুলনামূলক বেশি। তবে ছোট গুরুর দাম বেশি কিন্তু বড় আকারের গরুর দাম কম।’

লাউতাড়া গ্রামের খামারি আশিকুর রহমান জানান, ‘খামারে প্রায় অর্ধশত গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় খামারের সব পশু সুস্থভাবে পালন করা হচ্ছে।’

বেনাপোলের ‘বড়আঁচড়া অ্যাগ্রো ডেইরি ফার্মের মালিক আবু তাহের ভারত জানান, ‘তার ফার্মে প্রায় দুই শতাধিক গরু রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় শতাধিক গরু এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তার ফার্মে এ বছর কোরবানির জন্য দুই জাতের গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে লাল শাহীয়াল (পাকিস্তানি) গরু। যা প্রতিটি ওজন প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ কেজি ওজন রয়েছে।’

সাতমাইল হাট পরিচালনায় নিয়োজিত একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘হাটে পশু পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় এবং হাট ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু রাখতে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও হাটের পরিচ্ছন্নতা, টিকিটিং ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত পানি, অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র ও ভেটেরিনারি সার্ভিসও রাখা হয়েছে।’

Advertisement

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপু কুমার সাহা বলেন, ‘কৃষক প্রতি বছর ১/২টি করে গরু পালন করলে ভারত থেকে কোনো গরুর প্রয়োজন হয় না। তিনি দেশীয়ভাবে গরু পালনে দেশের মাংসের চাহিদা পূরণের পরও বিদেশে মাংস রপ্তানি সম্ভব বলে জানান।’

মো. জামাল হোসেন/আরএইচ/এএসএম