দেশজুড়ে

লালপুর হাসপাতালে ভর্তি ঈশ্বরদী ইপিজেডের শতাধিক শ্রমিক

লালপুর হাসপাতালে ভর্তি ঈশ্বরদী ইপিজেডের শতাধিক শ্রমিক

ঈশ্বরদী ইপিজেডের ১০৩ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে ঈশ্বরদী ইপিজেডে দুপুরের খাবারের পর থেকেই এসব শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। রোববার (১ জুন) দুপুরে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সবাই লালপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এবং ঈশ্বরদী ইপিজেডে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কর্মরত। কারখানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকে শ্রমিকরা একে একে অসুস্থ হতে থাকেন। তাৎক্ষণিক কিছু শ্রমিক ছুটি নিয়ে চলে গেলেও মধ্যরাত থেকে গত ৪৮ ঘণ্টায় অনন্ত ৫৮ শ্রমিক ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে লালপুুর হাসপাতালে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অনেকেই বাড়ি চলে গেলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনন্ত ৪৮ জনকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে ডায়রিয়া, বমি ও পেট ব্যথা নিয়ে চিকিৎসাধীন তারা।

শনিবার রাত ও রোববার দুপুর পর্যন্তও হাসপাতালে ভর্তি হতে থাকেন শ্রমিকরা। বেড না পেয়ে তাদের কেউ বারান্দায় আবার কেউ মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম চিকিৎসাকাজে অংশ নেয়।

Advertisement

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা পানঘাটা গ্রামের সুরাইয়া খাতুন (৩০) জানান, তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বাংলাদেশ লিমিটেডের সুইং বিভাগের একজন শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার পেটব্যথা শুরু হয়। এরপর ডায়রিয়া ও বমি শুরু হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। দুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লিমিটেডের শ্রমিক হালিম (৩০) জানান, কারখানার ক্যান্টিনে খাবার খাওয়ার সময় সাপ্লাই পানি পান করেন। পরে পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হন।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. সুরুজ্জামান বলেন, পানি ও খাবারে থাকা জীবাণু থেকে শ্রমিকরা আক্রান্ত হতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ঈশ্বরদী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক এবিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের ইপিজেড স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

লালপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনজুর রহমান জানান, রোববার দুপুর পর্যন্ত আরও ৪৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জিকেএস