ক্যাম্পাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক-বাজেট সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক-বাজেট সেমিনার অনুষ্ঠিত
 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ব্যবসায় গবেষণা ব্যুরো (বিবিআর)-এর উদ্যোগে ‘Pathway towards Budget Reform 2025-26’ শীর্ষক এক প্রাক-বাজেট সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

শনিবার (৩১ মে) ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ড. আবদুল্লাহ ফারুক অডিটোরিয়ামে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিবিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. এবিএম শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থীরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণাসহ গুরুত্বপূর্ণখাতে বাজেট সংকোচন না করার উপর গুরুত্বারোপ করে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ও প্রকল্পভিত্তিক পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা জোরদার করা দরকার। শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও বাজেট আলোচনার আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গবেষণা কাজে আরও পারদর্শী হয়ে উঠবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের আয়ের ওপরে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। সেখানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্র করে তাদের দক্ষতাটা বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ জায়গায় আমাদের গুরুত্ব আরোপ করা দরকার। তৃণমূলের জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতে কী ধরনের অর্থ যাচ্ছে, সেখানে আমাদের লিকেজ কমাবো কীভাবে এবং মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়ানোর ব্যাপারে চিন্তা করা দরকার। আমরা যখন মূল্যস্ফীতির কথা বলছি তখন মাথাপিছু বরাদ্দ যদি সেই হারে না বাড়ে তাহলে এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা পিছিয়ে যাবো।

বাজেটে রিফর্মেশন প্রসঙ্গ টেনে বিবিবিআরের পরিচালক প্রফেসর ড. এবিএম শহীদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশে একটা সংস্কার চলছে। আমরা বাজেটেও সেই সংস্কার চাই। ইতোমধ্যে আমরা বেশকিছু সুপারিশও করেছি। এখন আমাদের বাজেট তারা ইমপ্লিমেন্ট করেন, সেখানে প্রশাসনিক সংস্কার আনতে হবে। কেননা বিগত বাজেটগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে, অনেক জায়গায় বাজেট বেশি ব্যবহার করা হয়েছে এবং অনেক জায়গায় বাজেট ব্যবহারই করা হয়নি। তাই প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে বাজেট যেন জনগণের কল্যাণের বাজেট হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

সেমিনারে মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা-প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, যুব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দরিদ্রতা হ্রাস ও সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক কর্মসূচি জোরদার, আর্থিক খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং বাজেট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, ডিজিটাল গভর্নেন্স ও যুব সমাজের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এফএআর/জেএইচ/জেআইএম

Advertisement