স্বাস্থ্য

চিকিৎসক-ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্ক সমালোচিত

চিকিৎসক-ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্ক সমালোচিত

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেছেন, চিকিৎসা পেশায় বর্তমানে ডাক্তার ও ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক বহুল আলোচিত এবং সমালোচিত হয়ে উঠেছে নৈতিকতার প্রশ্নে। এক্ষেত্রে ডাক্তার ও ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্ক নৈতিকতার মানদণ্ডে উন্নতি হওয়া জরুরি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিএমইউয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড এডোলোসেন্ট গাইনোকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন উপলক্ষে প্রি-কংগ্রেস এর অংশ হিসেবে ‘মাস্টার ক্লাস অন এডোলোসেন্ট এন্ডোক্রাইনোলজি’ বিষয়ক প্রোগ্রামে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুনপ্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা ছড়িয়ে দিতে পারলে বিরাট পরিবর্তন আসবেচিকিৎসা ব্যয় বহনে বছরে গরিব হচ্ছে ৫০ লাখ মানুষ

তিনি বলেন, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকেও নৈতিকতার সীমা মানতে হবে। ডাক্তারদেরও চিকিৎসা পেশার মর্যাদা ও গুরুত্বকে অনুধাবন করে রোগীদের সেবা দিতে হবে। চিকিৎসকের দায়িত্ব হলো রোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করা, যা কখনোই কোনো কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়। রোগীর স্বার্থের পরিপন্থি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন কোনো কিছু করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোরও উচিত তাদের বিপণন কৌশলে নৈতিকতা বজায় রেখে পেশাগত সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা। ডাক্তার ও ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির পারস্পরিক সহযোগিতায় গড়ে তুলতে হবে বিশ্বাসযোগ্য ও মানবিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা। যেখানে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে মানবিকতার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর কল্যাণ ও যথাযথ চিকিৎসাসেবা।

উপাচার্য বলেন, বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে ইভিডেন্স বেজড মেডিসিন বা প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাকে ছড়িয়ে দিতে পারলে রোগী তথা জনস্বার্থ সংরক্ষণসহ সামগ্রিক চিকিৎসায় বিরাট পরিবর্তন আসবে। প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা প্রয়োগের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় কমিয়ে আনার উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবার গুণগতমান বৃদ্ধিসহ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের মেডিকেল অডিটের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান সময়ে মেডিকেল অডিট কথাটিই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু মেডিকেল অডিটের মাধ্যমেই চিকিৎসাসেবাকে কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত করা সম্ভব। তাই এক্ষেত্রে সবাইকে আরও সচেতন ও উদ্যোগী হতে হবে।

এসইউজে/ইএ/জেআইএম