দেশজুড়ে

শেরপুরে বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো ৪ জনের

শেরপুরে বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো ৪ জনের

শেরপুরে বজ্রপাতে দুজন এবং পানিতে ডুবে যমজ দুই বোনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে নকলা, নালিতাবাড়ী ও সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে মারা যাওয়া দুজন হলেন সমির উদ্দিন সমু (৫৭) ও হাজেরা খাতুন (৫৫)।

Advertisement

নিহত সমু নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পশ্চিম বড়পাগলা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে সমু বাড়ির কাছেই মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এসময় বজ্রপাতের বিকট শব্দে হার্ট অ্যাটাক করেন সমু। পরে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আর হাজেরা খাতুন নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের মানিককুড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে হাজেরা খাতুন তার নাতনিকে আনতে হাজি মোড় এলাকার একটি মাদরাসায় যান। ফেরার পথে আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে সঙ্গে থাকা নাতনি বেঁচে যায়।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ও টালকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফফর মহিউদ্দিন বুলবুল বজ্রপাতে কৃষক সমুর মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আর নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, হাজেরা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

অন্যদিকে, শেরপুর সদর উপজেলায় রাস্তার পাশে ডোবার পানিতে মারা যাওয়া দুই বোনের নাম শিলা ও নীলা। তারা শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের ছোটঝাউয়ের চর নামাপাড়া রিকশাচালক মো. আব্দুস সালামের মেয়ে। তাদের বয়স ১২ বছর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে দুই বোন পাশের ডোবাতে জমে থাকা পানিতে গোসল করতে যায়। এসময় যমজ তারা পানিতে ডুবে যায়। পরে অপর দুই শিশুর চিৎকারে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা।

লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মোখলেছ আলী বলেন, শিশুদের বাবা ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা-নির্বাহ করেন।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।

উমর ফারুক সেলিম/জেডএইচ/জেআইএম