পাবনার কাজিরহাট ও মানিকগঞ্জের আরিচা নৌপথে এবারের ঈদযাত্রায় ৩০০ টাকা করে ভাড়া আদায়ের অনুমোদন না পেলে স্পিডবোট বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বোট মালিকপক্ষ।
Advertisement
ঈদযাত্রায় একপাশ থেকে যাত্রী আসেন, অন্যপাশ থেকে যাত্রীহীন খালি বোট চলায় বড় ধরনের লোকসান হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি রইস উদ্দিন।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটির চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন পাঠা হয়েছে। তাতে বলেছি, ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে ঈদযাত্রায় ৩০০ টাকা করে ভাড়া আদায় না করলে ব্যাপক লোকসান হবে। এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ভাড়া আদায়ের অনুমোদন না পেলে বোট চালানো সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ সময়ে ছোট বোটে প্রতি ট্রিপে সাড়ে তিন হাজার ও বড় বোটে চার হাজার টাকা খরচ। ১২ যাত্রী নিতে বলা হয়েছে ২১০ টাকা ভাড়ায়। তাহলে এখানে আমার লাভ হচ্ছে, নাকি লোকসান? এরপর আবার ঈদের আগে শুধু ঢাকা থেকে মানুষ আসে, যায় না। ঈদের পরে শুধু যায়, আসে না। এক্ষেত্রে এই সময় একপাশ থেকে খালি বোট চালাতে হচ্ছে। লোকসান আরও বেড়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, শুধুমাত্র ঈদযাত্রায় ৩০০ টাকা ভাড়া আদায়ের অনুমোদন দেওয়া হোক।
Advertisement
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর নগরবাড়ি-কাজিরহাট ঘাট কার্যালয়ের পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল বলেন, ২১০ টাকা ভাড়ার প্রজ্ঞাপন হলেও তারা মানতে নারাজ। পরে দুইপাড়ের সেনাবাহিনীর সহায়তায় ভাড়া আদায়ে সরকারের নির্দেশনা মানতে বাধ্য করা হয়। ঈদে একমুখী যাত্রী পাবেন উল্লেখ করে এখন আবার তারা লোকসানের অজুহাতে ঈদযাত্রায় ৩০০ টাকা ভাড়া দাবি করছেন।
বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনের বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, অনুমোদন না পেলে ২১০ টাকাই ভাড়া আদায় করতে হবে। অনিয়ম করলে প্রয়োজনে বোটের রুট পারমিট বাতিল করা হবে। ঈদযাত্রায় কোনো যাত্রী ভোগান্তি মানা হবে না।
এ ব্যাপারে পাবনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে আদায়ের সুযোগ নেই। ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে ইতোমধ্যে বোট মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভাও হয়েছে। আমরা তৎপর রয়েছি, নিয়মের বাইরে এমন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলমগীর হোসাইন নাবিল/এএইচ/এএসএম
Advertisement