পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে জমতে শুরু করেছে পশুর হাটগুলো।
Advertisement
ঢাকার একমাত্র স্থায়ী হাট গাবতলীতে পশু রাখার জায়গাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাবতলী হাটে ট্রাকে করে আসছে পশু।
শনিবার (৩১ মে) গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে গাবতলী হাটের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। হাটের প্রবেশপথেই কয়েকটি গরু রাখা হয়েছে। এসব গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত।
ঢাকায় গরু বেচাকেনা শুরু হয় সাধারণত ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগে। কারণ জায়গার অভাব। তবে যাদের নিজের বাড়ি আছে তারা গরু দেখছেন, হয়তো আগেভাগেই কোরবানির পশু কিনতে চান তারা।
Advertisement
জাকারিয়া ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গতরাতে গরু হাটে তুলেছি। তবে হাট এখনো জমেনি। গরু অনেকে দেখভাল করছেন। কয়েকটি জাতের গরু আমার কাছে আছে।
খাবার, লেবার ও পরিবহন খরচ বাড়তি হওয়ায় এবার গরুর দাম বেশি হবে বলে দাবি মশিউরের।
আরও পড়ুন:
কোরবানির গরু হাত বদল হলেই দাম বেড়ে যায় ১০-১৫ হাজার টাকা হাটে গরু কেনার লোক কম, দেখার লোক বেশিতবে হাটে গরুর সংখ্যা এখনও কম। যেখানে যে কটা পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই টিকটকার ও ইউটিবারদের ভিড় চোখে পড়ছে। ক্রেতা নেই বলা চলে। হাতে গোনা কিছু মানুষ ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
Advertisement
খিলগাঁও এলাকা থেকে গাবতলী পশুর হাটে এসেছেন হাজী আওলাদ হোসেন। তার বাজেট ২ লাখ টাকা। একটা মাঝারি মানের গরু কোরবানি দিতে চান তিনি।
আওলাদ হাজী বলেন, গরু এখন কিনে রাখবো কোথায়। একটু দেখতে আসছি। এবার ইচ্ছে আছে আল্লাহর ওয়াস্তে দুই লাখ টাকার গরু কোরবানি দেবো।
এবার সর্বোচ্চ দরদাতাকে হাটের ইজারা দেয়নি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ইজারার বদলে গাবতলী হাটে এখন খাস আদায় করছেন করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। হাজারে ৩৫ টাকা খাস আদায় করা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন হাসিল ঘরে। তারা বলেন, হাটের ইজারা ঠিক হলেই আমরা চলে যাবো। ডাক এখনো ঠিক হয়নি। আমরা হাজারে ৩৫ টাকা খাস আদায় করছি।
এমওএস/এসএনআর/এমএস