ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভার শেষে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্যকোন দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ।
Advertisement
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ হয়।
বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
এসময় তারেক রহমান বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। এ নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন পেছানো নিয়ে হেলাফেলা চলবে না: খসরুতারেক রহমান বলেন, এরই মধ্যে জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, সংস্কার নিয়ে সময় ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে এবং বাইরে কারও কোনো ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। পলাতক সরকারের সময় আমরা দেখেছি তারা কীভাবে আদালতকে অবজ্ঞা করেছে। আদালতের রায়কে অবজ্ঞা করেছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সরকারের কাছে দেশের মানুষ আশা করেছিল আইনের প্রতি সম্মান থাকবে। আমরা দেখেছি আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে যারা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছে, সেই স্বৈরাচারের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা দেখছি।
প্রিয় সমাবেশ, আপনাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় না, যারা আদালতের নির্দেশকে অবজ্ঞা করে, তাদের কাছ থেকে আমরা কতটুকু সংস্কার আশা করতে পারি? পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে ব্যক্তি মানসিকতা সংস্থার অনেক বেশি জরুরি। নর্থ কোরিয়ার সংবিধানে লেখা রয়েছে ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব নর্থ কোরিয়া। সুতরাং কী লেখা আছে তার থেকেও বেশি জরুরি, মেনে চলা। ইশরাকের ক্ষমতা গ্রহণ বা শপথ গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে আমরা আবারও স্বৈরাচারী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাচ্ছি।
এমএইচআর/এমএস
Advertisement