পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চারটি দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের বকুলের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ফার্মেসি, হোটেল ও মুদি দোকানসহ চারটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়।
ঘটনার পর ভাঙচুরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে একজন ভুক্তভোগী দোকানি ভাঙচুর ও লুটপাটের সঠিক বিচার না পেলে প্রকাশ্যে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে আহাজারি করেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চলছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আহমেদ আলী নামে ভুক্তভোগী হোটেল মালিককে আহাজারি করে বলেন, ‘আমরা কোনো দল করি না, তবুও কেন আমাদের দোকানে ভাঙচুর করা হলো? এ দোকান চালিয়ে আমাদের পেটের ভাত হয়, ক্ষমতার গরমে তারা আমাদের মতো গরিব মানুষের পেটে লাথি মারছে। যে দলই ক্ষমতায় আসে তারাই শুধু গরিবের পেটে লাথি মারে। অন্যায়ভাবে আমাদের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমি সরকারের কাছে জবাব চাই, কেন আমাদের ওপর এমন জুলুম ও অত্যাচার করা হচ্ছে? প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। এ অন্যায়ের বিচার করা না হলে এখানেই প্রকাশ্যে আত্মহত্যা করে এর প্রতিবাদ জানাবো।’
Advertisement
স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, বিএনপি হামলা ও ভাঙচুরের রাজনীতি করে না। ঈশ্বরদীতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের দোকানপাটে ভাঙচুরের বিষয়টি আমি জেনেছি, যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি উঠছে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা তো নেওয়া হবেই, সেই সঙ্গে প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুন নূর বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসময় কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শেখ মহসীন/এমএন/এমএস
Advertisement