রাজনীতি

এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসে ন্যায়বিচারের জয়: ছাত্রশিবির

এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসে ন্যায়বিচারের জয়: ছাত্রশিবির

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারুল ইসলামকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খালাস দেওয়ায় ‘ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটেছে’ বলে মন্তব্য করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৭ মে) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, দিল্লির মদদপুষ্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিচারপ্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার বানিয়ে যে প্রহসনমূলক রায় দিয়েছিল, আজকের রায়ে তা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে শুরু করে বিচার ও রায় পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াতেই ছিল চরম অবিচার। আজকের রায়ে তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলেছে।

ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে যেসব সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়েছিল, তা ছিল বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত। একজন সাক্ষী ঘটনাস্থল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে থেকেও নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন এবং আরেকজন নিজেকে ভিকটিমের সহপাঠী বললেও প্রামাণ্য ডকুমেন্টে দেখা যায়, তিনি কলেজে ভর্তি হন ভিকটিমের কলেজ ছাড়ার দুই বছর পর। এমন অসংগতি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রমাণের ভিত্তিতে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল বিচারিক হত্যার শামিল।

Advertisement

তারা আরও বলেন, আজকের রায়ে সর্বোচ্চ আদালত এই সব বানোয়াট সাক্ষ্য ও দুর্বল প্রমাণের অসারতা তুলে ধরেছেন এবং পূর্ববর্তী রায়কে ‘সত্যের বিকৃতি’ ও ‘ন্যায়বিচারের মারাত্মক ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এতে আবারও প্রমাণিত হলো—সত্যকে চিরদিন মিথ্যার আবরণে ঢাকা যায় না।

ছাত্রশিবির নেতৃদ্বয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে একটি রিভিউ বোর্ড গঠন করে পূর্ববর্তী সব বিতর্কিত ও পক্ষপাতদুষ্ট রায় পুনর্বিবেচনার ব্যবস্থা করতে হবে এবং শহীদ পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।

তারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আজকের এই রায় কেবল একটি বিচারের সমাপ্তি নয়-এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচনের দিকেও এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

এএএম/জেডএইচ/

Advertisement