গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল ইডেন মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে নিজ বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করেছেন বলে একটি মামলার এজাহারে উঠে এসেছে। ঢাকার ডেমরা থানায় করা এ মামলায় মঙ্গলবার (২০ মে) নোবেলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মুরাদ হোসেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে নোবেলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
Advertisement
রাষ্ট্রপক্ষে জামিন নামঞ্জুর চেয়ে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন। সোমবার (১৯ মে) নোবেলকে গ্রেফতার করে ডেমরা থানা পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদীনী ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজে অধ্যায়নরত ছিলেন। ২০১৮ সালে আসামি নোবেলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদীনীর পরিচয় হয়। নোবেল বাদীনীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় কথাবার্তা বলতেন। একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে বাদীনীর সঙ্গে দেখা করে বাদীনীকে আসামি নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরা থানা এলাকায় নোবেলের নিজ বাসায় নিয়ে আসেন। নোবেলের বাসায় আসার পর বাদীনী বাসা হতে চলে যাওয়ার কথা বললে আসামির সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জন আসামির সহায়তায় বাদীনীকে একটি বাসায় আটক করে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাদীনী আসামির কথা মতো আসামির বাসায় না থাকলে তার মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে মর্মে হুমকি দেয়। বাদীনী আসামি নোবেলের ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি। নোবেল তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জন বিবাদীর সহায়তায় বাদীনীকে সিঁড়ি দিয়ে চুলের মুটি ধরে টানা হেঁচড়া করে অপর একটি কক্ষে আটক করে রাখেন। উক্ত ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বাদীনীর পিতা-মাতা বাদীনীকে চিনতে পারে। বাদীনীর পিতা-মাতা বাদীনীকে খোঁজাখুঁজি করা অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবায় গত ১৯ মে কল দিলে ডেমরা থানা পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগী বাদীনী আসামি নোবেলের বাসা থেকে বের হয়ে আসে।
Advertisement
এমআইএন/এমএইচআর/জিকেএস