ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে বাজারে নানা রকম উপাদানে তৈরি মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। তবে আপনার ত্বকের বিশেষ ধরনের জন্য কোন উপাদানগুলো ভালো, সেটা না বুঝে ব্যবহার করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
Advertisement
আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, বা মুখময় ব্রণ থাকে, তাহলে আপনি যে মাস্ক ব্যবহার করবেন, একজন শুষ্ক ত্বকের অধিকারী তা ব্যবহার করতে পারবেন না। বাস্তবে দেখা যায় যে, অনেকেই শুধু মাস্কের উপাদান বিচার-বিবেচনা করছেন, আর ত্বকের প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
যে কোনও প্রসাধনী যেমন সব ত্বকের জন্য উপযুক্ত না, তেমনই মাস্কও সমস্ত ত্বকের জন্য এক রকম হতে পারে না। আর সে কারণেই বাজারে নানা রকম উপাদানে তৈরি মুখের মাস্ক রয়েছে। তবে আপনি কোন বেঁছে নিবেন এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের লুধিয়ানার অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজির চিকিৎসক অনিন্দিতা সরকার।
১. শুষ্ক ত্বককারও কারও ত্বকের ধরন বেশ শুষ্ক হয়। মুখে তেমন উজ্জ্বলতা থাকে না। এমন ত্বকের জন্য দরকার আর্দ্রতা। সে জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে হাইড্রেটিং জেল বা ক্রিম মাস্ক। এই ধরনের মাস্ক ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দিতে এবং সেই আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত শিট মাস্ক বা অন্য কোনও মাস্ক এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ দেয়।
Advertisement
কারও কারও ত্বক শুষ্ক না হলেও জেল্লা থাকে না। মুখের কোনও কোনও অংশ কালচে হয়। এমন ত্বকের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত প্রসাধনী জরুরি। দরকার এক্সফোলিয়েশন, যাতে ত্বকে জমা মৃত কোষ পরিষ্কার করা যায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন-সি যুক্ত কোনও মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের কালচে ভাব দূর করে দীপ্তি ফেরাতে কাজে আসতে পারে নিয়াসিনামাইডও।
৩. স্পর্শকাতর ত্বককিছু মানুষের ত্বক বেশ স্পর্শকাতর বা সেনসিটিভ হয়ে থাকে। এমন ত্বকে যে কোনও জিনিস মাখা যায় না। তাই সুগন্ধী, অ্যালকোহল মিশ্রিত কোনও প্রসাধনী বা মাস্ক এমন ত্বকের উপযোগী নয়। বরং এক্ষেত্রে ক্যালেন্ডুলা, ক্যামোমাইল অয়েল রয়েছে এমন উপাদান মিশ্রিত মাস্ক বেছে নেওয়া যায়।
অনন্দিতার পরামর্শ, মুখের জন্য মাস্ক বেছে নেওয়ার আগে সেটি ত্বকের উপর পরীক্ষিত কি না জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকের ধরন স্পর্শকাতর হলে ক্লে মাস্ক বা এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক এড়িয়ে চলা ভাল।
সূত্র: আনন্দবাজার
Advertisement
এএমপি/জেআইএম