দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে। মধ্যরাত থেকে চালানো এসব হামলায় ৪৩ জন নিহত হয়েছে। এদিকে কানাডা, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা গাজায় নতুন করে আক্রমণ বন্ধ না করলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘কঠিন পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে ২২টি দেশ অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
তবে বিভিন্ন দেশের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সমগ্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল।
এর আগে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে নতুন করে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির নির্দেশ জারি করে ইসরায়েল। দখলদার বাহিনী খান ইউনিসের বাসিন্দাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, শহর ছেড়ে না গেলে তাদের হত্যা করা হবে।
খান ইউনিসের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আওতায় পড়েছে। প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের মধ্যেই অনেক মানুষ হাতে যা পেয়েছেন তা নিয়েই পালিয়েছেন।
Advertisement
ইসরায়েলি বাহিনী এসব ফিলিস্তিনিকে আল-মাওয়াসি এলাকায় সরে যেতে বলেছে। তবে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ঘোষিত আল-মাওয়াসিও ইসরায়েলি হামলার বাইরে নেই। সেখানে হামলা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার খান ইউনিস খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের, না সরলে হত্যার হুমকি গাজায় ব্যাপক অভিযান ইসরায়েলের, নিহত আরও শতাধিক ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হতেই গাজা-ইয়েমেনে ইসরায়েলি হামলা জোরদারগাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩ হাজার ৩৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার ৩৪ জন। তবে গাজা সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজারো মানুষ নিখোঁজ এবং তারা সম্ভবত মারা গেছেন। ফলে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
টিটিএন
Advertisement