তাকে হঠাৎ সহ-অধিনায়ক করা দেখেই জেগেছে প্রশ্ন, ‘আচ্ছা! শেখ মেহেদিকে কি একটু বেশি হাইলাইট করা হচ্ছে না? এ অফস্পিনার কাম লেট অর্ডারকে কি একটু বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে? তার কাঁধে কি একটু বাড়তি দায়িত্ব তুলে দেয়া হচ্ছে? তিনি সে বাড়তি দায়িত্ব বহন করার ক্ষমতা রাখেন কি না, তা কি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে?
Advertisement
ওপরে তোলা প্রশ্নমালার প্রথমটা জেগেছে শেখ মেহেদিকে সহ অধিনায়ক করার সঙ্গে সঙ্গে। যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে কোন ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে অধিনায়ক বা সহ-অধিনায়ক নন, তাকে হুট করে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সহ-অধিনায়ক করা দেখে প্রশ্ন জাগাই যে স্বাভাবিক!
তখন বোর্ড থেকে ব্যাখ্যায় বলা হলো, ‘শেখ মেহেদি একা নন। আরও কজনকে সহ-অধিনায়ক হিসেবে পরখ করা হবে। তাদের সবার পারফরমেন্স পরখ করে তারপর পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাইস ক্যাপ্টেন মনোনীত করা হবে।’
এ বিষয়টা গ্রহণযোগ্য; কিন্তু তাই বলে জাকের আলী অনিক ও শামীম পাটোয়ারির মত দু’দুজন পুরোদস্তুর ব্যাটার এবং টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্টকে রেখে শেখ মেহদিকে ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারচেয়ে বড় অবাক করা ঘটনা ছিল শেখ মেহদিকে দিয়ে বোলিং শুরু করা।
Advertisement
কেউ কেউ হয়ত বলবেন মোহাম্মদ জোহেব আর মোহাম্মদ ওয়াসিমের গড়া আরব আমিরাত ওপেনিং জুটিতে জোহেব তো বাঁ-হাতি, তাই ডান হাতি অফব্রেক বোলার হিসেবে শেখ মেহেদিকে দিয়ে তানজিম সাকিবের সাথে দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করানো হয়েছিল।
কিন্তু সেটা বুমেরাং হয় এবং প্রথম ওভারে তিন বাউন্ডারি, ১ ছক্কা ও এক সিঙ্গেলসে ১৯ রান দিয়ে ফেলেন শেখ মেহদি। এমন নয়, ডান হাতি মোহাম্মদ ওয়াসিমই শুধু তার বিপক্ষে হাত খুলে খেলেছেন। ডানহাতি ওয়াসিমের কাছে একটি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি হজমের পর তার বাঁ-হাতি ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ জোহেবের হাতেও ২ বাউন্ডারি হজম করেন শেখ মাহদি।
এরপর ১১ নম্বর ওভারে আবার বোলিংয়ে গিয়ে ৫ রান দিয়ে অধিনায়ক লিটন দাসের আস্থা ফিরিয়ে আনেন; কিন্তু সেটা দলকে বিপদে ঠেলে দিচ্ছিল। অনুপ্রাণিত অধিনায়ক লিটন দাস ঠিক পরের ওভারে আবার বল তুলে দেন শেখ মেহেদির কাছে। সেই ওভারে আরব আমিরাত ব্যাটার আসিফ খানের কাছে বেদম মার খান তিনি।
শেখ মেহেদির ওই ওভারের শেষ ৩ বলে পর পর ছক্কা হাঁকান আসিফ। সব মিলিয়ে ওই ওভারে ওঠে ২৫ রান। মোটকথা, প্রথম ৩ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে দলকে বিপদে ও অধিনায়ককে চিন্তায় ফেলে দেন শেখ মেহেদি। তিনি যেভাবে মার খেয়েছেন, তাতে ১৯১ রানের বড় পুঁজি নিয়েও হারার উপক্রম হয়েছিল। শুরুতে তানজিম সাকিব আর পরে মোস্তাফিজ রান গতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে না পারলে ভরাডুবির সম্ভাবনা ছিল প্রবল। এখন দেখার বিষয় আজও শেখ মেহেদিকে অত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যায় কি না?
Advertisement
এআরবি/আইএইচএস