ক্যাম্পাস

যোগ্যতা নেই তবুও নিয়োগ, তালা ঝুলিয়ে ক্লাস বর্জন শিক্ষার্থীদের

যোগ্যতা নেই তবুও নিয়োগ, তালা ঝুলিয়ে ক্লাস বর্জন শিক্ষার্থীদের

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) মো. তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

Advertisement

তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরও বিভাগে যোগদানের চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভাগে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি ওই শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল না করা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুনে তৎকালীন প্রশাসন থাকাকালীন তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থীকে পিএমই বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ ৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ ১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ ৭.৩৫ কে সিজিপিএ ৪-এ পরিবর্তন করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তারপরও ওই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় তাজবিউলকে। এ নিয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Advertisement

তদন্তে এবং ২৩৫তম সিন্ডিকেটে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ার পরেও স্বপদে বহাল আছেন ওই শিক্ষক। ফলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে।

পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‌‘ওই শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। তার নিয়োগ দ্রুত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবো না।’

এ বিষয়ে পিএমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত প্রমাণিত ও সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও বিভাগে যোগদানের জন্য ওই ক্যান্ডিডেটকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, তাজবিউল ইসলামের নিয়োগের বিষয়টি আগের সিদ্ধান্তের জায়গায় রয়েছে। এতে কোনো রদবদল করা হয়নি।

Advertisement

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাকে শোকজ করা হবে। শোকজের জবাবের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন।

নাইম আহমেদ শুভ/এসআর