টকশোতে অশ্লীল শব্দচয়ন এবং রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে উপস্থাপিকা তমা রশিদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৮ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ওবাইদুল্যাহ আল মামুন সাকিব এ নোটিশ পাঠান।
Advertisement
নোটিশে বলা হয়েছে, টেলিভিশন চ্যানেলে উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিকতা, পারিবারিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার পরিপন্থি ভাষা ছড়াচ্ছেন উপস্থাপিকা তমা রশিদ। অনলাইন ইউটিউব চ্যানেল ‘ফ্ল্যাশটক’র টকশোতে অশ্লীল শব্দচয়ন করায় তাকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, অনলাইন ইউটিউব চ্যানেল ‘ফ্ল্যাশটক’র বিনোদনমূলক টকশোতে অভিনেতা/অভিনেত্রীদের বিভিন্ন সময় ইন্টারভিউ করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে তমা রশিদ আকারে-ইঙ্গিতে অনেক অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন। পরে সেই ইন্টারভিউগুলো ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেগুলো পরিবার ও সমাজে বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
এসব অশ্লীল কনটেন্ট বা ভিডিও সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয় এবং নৈতিক মূল্যবোধ প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যার সুদূরপ্রসারী ভয়াবহ পরিণাম অপেক্ষা করছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
Advertisement
এতে ওই উপস্থাপিকার উদ্দেশে আরও বলা হয়েছে, আপনি শালীনতা এবং নৈতিকতার পরিপন্থি তৈরি করা সব কনটেন্ট/ভিডিও নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে অপসারণ করবেন। ভবিষ্যতে অশ্লীলতাপূর্ণ, নৈতিকতা বিবর্জিত ও সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টিকারী কোনো ধরনের কনটেন্ট/ভিভিও নির্মাণ থেকে বিরত থাকবেন। অন্যথায় রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অপরাধে আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে অগ্রসর হবো। তিনদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তমা রশিদ জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭ লঙ্ঘন করছেন উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার ধারা ৩.৬.৩ অনুযায়ী, শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক, মানবিক ও নৈতিক গঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন অশ্লীল, তথ্যগত ভুল এবং ভাষাগতভাবে অশোভন ও সহিংসতামূলক অনুষ্ঠান প্রচারে কঠোর সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা রয়েছে। তমা রশিদ এ নিয়ম অমান্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নীতিমালার ৩.৬.৫ ধারাতেও স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ধরনের অশোভন উক্তি বা আচরণ কিংবা অপরাধীদের কার্যকলাপ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যা নতুন অপরাধ প্রবণতা তৈরির ঝুঁকি তৈরি করে। কিন্তু ওই উপস্থাপিকা তার অনুষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে এমন শব্দচয়ন করে চলেছেন, যা অশ্লীলতা ও কুরুচিপূর্ণ আচরণের উৎসাহদাতা হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তমা রশিদের এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এ নোটিশ দিয়েছি। তিনি যেন ভবিষ্যতে আর কোনোভাবেই অশ্লীল শব্দচয়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে না পারেন।
Advertisement
এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস