ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দুর্নীতির মামলা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুলাই শুনানির জন্যে দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
রোববার (১৮ মে) আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) ছিল। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আজকে মামলাটি কার্যতালিকায় ছিল। আদালত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ১৫ জুলাই এই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন।
এর আগে ২০০৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে করা দুর্নীতির মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন
Advertisement
১৯৯৬-১৯৯৭ সালে শিকলবাহা, হরিপুর ও খুলনায় বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক এম এম শাব্বির হাসান তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুদ্দীন মাহমুদ কামাল, সামিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আজিজ খান, পরিচালক মুহাম্মদ ফরিদ খান, ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা ও পরিচালক আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়।
পরে তদন্ত শেষে ২০০৮ সালে ১০ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগ গঠনের পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ শেখ হাসিনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি শামসুল হুদা ও বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল মামলাটি বাতিল করেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৫ মার্চ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দুদক। এ আবেদনে মোট ৫ হাজার ৪৫২ দিন বিলম্ব হয়েছে। আবেদনে সেটির বিষয়েও মার্জনা চাওয়া হয়েছে।
Advertisement
এরপর আবেদনটি চেম্বার জজ আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। গত ১৭ মার্চ চেম্বার জজ আদালত শুনানির জন্য রোববার (১৮ মে) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্যে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি (কজলিস্টে) কার্যতালিকায় ওঠে।
এফএইচ/এএমএ/এমএস