জাতীয়

তথ্য আপা প্রকল্পের আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংহতি প্রকাশ

তথ্য আপা প্রকল্পের আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংহতি প্রকাশ

রাজস্ব খাতে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা বিশ দিন অবস্থান করা তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।

Advertisement

সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১টায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একাত্মতা জানান গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টির প্রতিনিধিরা।

আন্দোলনস্থলে সংহতি প্রকাশ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে, তা এক নতুন দমনমূলক সময়ের ইঙ্গিত দেয়। আন্দোলন ছাড়া কোনো দাবি এখন আর সরকারের কানে পৌঁছায় না।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান- ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে অভিজ্ঞ জনবল বাদ দিলে প্রশাসনিক ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Advertisement

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রায় বিশ দিন ধরে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা নারীরা রোদের মধ্যে অবস্থান করছেন, অথচ সরকার নির্বিকার। আজ যদি তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করতেন, তাহলে হয়তো সরকারের টনক নড়তো।

তিনি দ্রুত সমস্যার সমাধানে সরকারের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, দলীয় পরিচয় বা রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে এই প্রকল্পে নিয়োজিত মেয়েদের বঞ্চিত করা অমানবিক। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা যেন অবিলম্বে অংশীজনদের সঙ্গে বসে সমাধানের পথ খুঁজে বের করেন।

এ সময় আরও সংহতি জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল আলম ভূঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। তারা সবাই দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

Advertisement

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ অবস্থান করে নেতারা বলেন, এই দাবিগুলোর প্রতিফলন একদিকে নারী কর্মজীবীদের মর্যাদা রক্ষা, অন্যদিকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নেও এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

এএএম/এএমএ