বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) জমা দিতে অনীহা সরকারি কর্মকর্তাদের। একজন সরকারি কর্মকর্তা কর্মজীবনের বিভিন্ন বছর বা সময়ে বার্ষিক বা আংশিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) প্রযোজ্য হলেও তা যথানিয়মে ও যথাসময়ে জমা হচ্ছে না।
Advertisement
সম্প্রতি এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, সব সিনিয়র সচিব/সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়, গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০-তে গোপনীয় অনুবেদন ও গোপনীয় অনুবেদন দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরের সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সিআর অধিশাখায় প্রাপ্ত এসিআর গুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, একজন কর্মকর্তার কর্মজীবনের বিভিন্ন বছর/সময়ে বার্ষিক/আংশিক গোপনীয় অনুবেদন প্রযোজ্য হলেও তা যথানিয়মে ও যথাসময়ে দাখিল করা হচ্ছে না।
কিন্তু সিআর অধিশাখায় প্রাপ্ত এসিআরগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, একজন কর্মকর্তার কর্মজীবনের বিভিন্ন বছর/সময়ে বার্ষিক/আংশিক গোপনীয় অনুবেদন প্রযোজ্য হলেও তা যথানিয়মে ও যথাসময়ে দাখিল করা হচ্ছে না।
Advertisement
পর্যবেক্ষণে আরও দেখা যায়, অনেক অনুবেদনকারী বা প্রতিস্বাক্ষরকারী যথানিয়মে ও যথাসময়ে অনুস্বাক্ষর বা প্রতিস্বাক্ষর করে এসিআর পাঠান না। এ সংক্রান্ত ব্যর্থতা গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা মোতাবেক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া চাকরি স্থায়ী করা, উচ্চতর গ্রেডসহ সব পদোন্নতি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন সংক্রান্ত চাওয়া প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে গিয়ে বিভিন্ন ত্রুটিবিচ্যুতি পরিলক্ষিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, যা খুবই অনভিপ্রেত।
এ অবস্থায় গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা অনুযায়ী বার্ষিক/আংশিক গোপনীয় অনুবেদন প্রযোজ্য হলে যথাসময়ে গোপনীয় অনুবেদন দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষর করে সিআর অধিশাখায় প্রেরণ নিশ্চিত করা বা কোনো বছর/সময়ে এসিআর প্রযোজ্য না হলে উপযুক্ত প্রমাণক পাঠানো নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
Advertisement
আরএমএম/এমআইএইচএস/এমএস