নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সদস্যকে গ্রেফতারের পর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
Advertisement
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করে তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রেফতার শান্ত প্রধানের মা তাছলিমা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের লঙ্করবাড়ি এলাকা থেকে আলী হোসেনের ছেলে রিপন মিয়াকে পুলিশ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করে। এসময় এলাকাবাসী পুলিশের কাছে রিপনের ওয়ারেন্টের প্রমাণ দেখতে চায়। সেসময় সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ সদস্যরা ওয়ারেন্টের প্রমাণ ছাড়াই রিপনকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী পুলিশকে বাধা দেয়। একপর্যায়ে ওই স্থানে হট্টগোল শুরু হয়। পরবর্তীতে সেচ্ছাসেবক দল নেতা শান্ত প্রধান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ওইদিন স্থানীয়দের চাপের মুখে পুলিশ রিপন মিয়াকে ছেড়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে থাকা শান্ত প্রধান পুলিশকে বলেছিলেন ওয়ারেন্টের প্রমাণ নিয়ে এলেই রিপনকে তাদের হাতে তুলে দেবেন। একপর্যায়ে পুলিশ চলে যাওয়ার পর আসামি রিপন মিয়া আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে রিপনকে পুলিশে তুলে দিতে না পারায় শান্ত প্রধানও আত্মগোপনে চলে যান। এরপর গত রোববার সন্ধ্যায় কাঁচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শান্ত প্রধানকে আটক করা হয়। আটক করে নিয়ে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে পুলিশ। পুলিশের নির্যাতনে শান্ত এখন ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছেন না। তাকে শুধু নির্যাতনই করেননি, তাকে কিশোরগঞ্জের ডিম চুরির একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এসময় সংবাদ সম্মেলনে শান্ত প্রধানের দুই ভাই-বোন উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু জাগো নিউজকে বলেন, শান্ত প্রধান এক আসামিকে জোরপূর্বক রেখে দিয়েছেন বলে লোকমুখে শুনেছি। আমি জেলার বাহিরে।
গ্রেফতারের বিষয়ে অবগত রয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, সেটা শুনেছি।
নির্যাতনের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান ও পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
Advertisement
মো. আকাশ/এফএ/জেআইএম