ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় আরও ব্যাপক অভিযান চলছে। গত ২৪ ঘন্টা ধরে সেখানে ব্যাপক আক্রমণ চালানো হয়েছে। এর মাধ্যমে দখলদার সেনারা গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো দখলের চেষ্টা করছে।
Advertisement
শুক্রবার ভোর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১১৫ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে উত্তর গাজার কিছু অংশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ১১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ১৯ হাজার ৯১৯ জন আহত হয়েছেন।
যদিও সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে তারাও মারা গেছেন। ফলে মোট নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বলে দাবি করা হয়েছে।
Advertisement
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে নেওয়া হয়। এরপরেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।
এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বসবাসরত প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)।ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধের মুখে ত্রাণ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা ঢুকতে না পারার কারণে সেখানকার বাসিন্দারা চরম খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন বা আইপিসি মূলত জাতিসংঘ, দাতা সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের সমন্বয়ে পরিচালিত একটি সংস্থা, যাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহল একটি এলাকায় দুর্ভিক্ষ হতে যাচ্ছে কি-না, সেটার প্রাথমিক মূল্যায়ন করে থাকে।
আইপিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকেই গাজার খাদ্য পরিস্থিতিতে বড় ধরনের অবনতি ঘটেছে।
Advertisement
বর্তমানে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু না হলেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে, ইসরায়েল এবং হামাসের দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে গাজায় সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে নতুন করে যে বৈরিতা দেখা যাচ্ছে, সেটা গাজাবাসীকে পুনরায় উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
টিটিএন