ক্যাম্পাস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো সরকার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো সরকার

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের স্বার্থ দেখি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে সরকার।

Advertisement

শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাকরাইলের আন্দোলনস্থলে এসে অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ এ তথ্য জানান।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, আমরা সারাদিন এটা নিয়ে কাজ করেছি। ইউজিসি একটি পরিবার হিসেবে সবাই মিলে এটার সমাধান করতে পারব। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি একসঙ্গে বসে সব সমাধান করব। আপনাদের সব দাবি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।

এসময় ইউজিসি চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি আদায়ের জন্য গণঅনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

Advertisement

এসময় জবি উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ইউজিসির সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জবির পরিচালনা বাজেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজেট বাড়ানোর মাধ্যমে ১ম দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে। আবাসন সংকটের কথা ভেবে দ্রুতই অস্থায়ী হল নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন

দাবি আদায়ে অনশনে জবির ৮০ শিক্ষার্থীজিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেই শিক্ষার্থীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

এ সময় জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড রইছউদ্দীন বলেন, আমাদের চতুর্থ দাবি ছিল আমাদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। হামলার ঘটনায় পুলিশ দু:খ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া সাতদিনের মধ্যে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে। সরকার আমাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে।

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আগের তিন দফা দাবির সঙ্গে পরবর্তীতে নতুন আরও এক দাবি যুক্ত হয়। সেটি হলো ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

Advertisement

এর আগে শিক্ষার্থীদের দেওয়া তিন দফা দাবি হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও বাস্তবায়ন।

আরএএস/এএমএ/এএসএম