বিনোদন

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কার্যক্রম স্থগিত

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় কার্যক্রম স্থগিত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই আদেশ অমান্য করে গত ৯ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নির্বাচনের আয়োজন করে সংগঠনটি। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করায় ওই নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম ও ফলাফল স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ১২ মে দ্বিতীয় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এ আদেশ দেন।

Advertisement

গঠনতন্ত্র না মেনে নির্বাচন আয়োজন করায় আদালতে মামলাটি করেন জ্যেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক ও সংগঠনের সাবেক নেতা বদিউল আলম খোকন। গত ৮ মে সমিতির নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন আদালত। সেই আদেশ ভঙ্গ করে ৯ মে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। আদালতের আদেশ ভঙ্গের অপরাধে (মিস ভায়োলেশন) নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বাচ্চুর নামে মামলা ও সমন জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:নতুন নেতৃত্ব পেলো চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিযেভাবে হচ্ছে চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্বাচনএ নিয়ে তিনবার স্থগিত, হচ্ছে না চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্বাচন

আদালতের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পরও কেন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন? জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের হাতে কোনো কাগজপত্র আসেনি। এ কারণে আমরা নির্বাচন স্থগিত করিনি।’

জানা গেছে, মূলত ৮ মে সন্ধ্যার পর আদালত থেকে ওই স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। ঢাকা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন নিয়ন জানান, আদালত থেকে জারিকারক আব্দুল লতিফ বাচ্চুর বাসায় গিয়ে স্থগিতাদেশ পৌঁছে দিয়েছেন। এর পরও তারা নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেন না। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো আইন নেই যে বিকেল ৫টার মধ্যে তার অফিসে কাগজ পৌঁছাতে হবে। গত ৮ মে রাত ১০টার দিকে জারিকারক আদালত থেকে বিবাদীর বাসায় আদালতের স্থগিতাদেশ পৌঁছে দেন। বারবার ফোন করে তার বাসার ঠিকানা নেওয়া হয়েছিল। আইন হচ্ছে, ভোটগ্রহণ শুরু করার ১ মিনিট আগেও যদি তিনি আদেশ হাতে পান, তখনই সেটি বলবৎ হবে। তারা স্পষ্টত আইন লঙ্ঘন করেন।’

Advertisement

কেন এই মামলানির্বাচন স্থগিতাদেশ চেয়ে কেন মামলা করলেন? মামলার বাদী বদিউল আলম খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অমান্য করে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। সংগঠনের কোনো উপদেষ্টা পরিষদ নেই, তাহলে নির্বাচন কমিশন কার নির্দেশে কাজ করবে? এর সবকিছু শাহীন সুমনরা পরিচালনা করেছেন, কিন্তু তারা এটা করতে পারেন না। এটা অন্যায়। কাউকে না কাউকে তো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। আমি দীর্ঘদিন এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলাম। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে সাধারণ সদস্য হিসেবে মামলা করেছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ নির্মাতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন সাধারণ সভা করতে হবে। সেখানে সাধারণ সদস্যরা যেভাবে বলবে, সেটাই আইন। সংগঠনের জন্য যা কিছু করতে হবে, নিয়ম মেনেই করতে হবে। ঠিকঠাক মতো নির্বাচন করতে হবে।’

এর আগেও পরিচালক সমিতির দ্বিবার্ষিক এ নির্বাচন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানান কথা শোনা গিয়েছিল। এক পক্ষের দাবি, কেপিআইভুক্ত এলাকা বলে বিএফডিসিতে নির্বাচনের অনুমতি পাওয়া যায়নি। আরেকটি পক্ষ বলছে অন্য কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক চলচ্চিত্র পরিচালক বলেন, একটি পক্ষ নির্বাচন হতে দিতে চায় না। কারণ, দুই প্যানেলেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সমর্থক পরিচালকরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ কারণেই বারবার নির্বাচন স্থগিত হচ্ছে।

এমআই/আরএমডি/জেআইএম

Advertisement