বুধবার (১৪ মে) রাত থেকে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করা এ ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হচ্ছে এটি খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা মিশা সওদাগরকে মারধরের ভিডিও। কেউ কেউ এমনও বলছে, ‘মিশা গত সরকারের দোসর হওয়ায় জনতা তাকে প্রহার করেছে।’ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ভাইরার ভিডিওটি নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়েছে। জানা গেছে, মিশাকে মারধরের ভিডিওটি ভুয়া।
Advertisement
এদিকে মিশা সওদাগর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়টি তার নজরেও এসেছে। চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মিশার পেজ থেকে একটি লাইভ করা হয়। যদিও লাইভটি স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে না।
ফেসবুক লাইভে মিশাকে বলতে শোনা যায়, তিনি সাধারণত লাইভে আসেন না। তারপরেও তিনি হাসপাতালে বসে লাইভে আসতে কিছুটা বাধ্য হলেন। কে বা কারা যেন তার নামে একটি ভিডিও ছেড়েছেন। এতে তিনি ভীষণ অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছেন। এমনটা করা ঠিক হয়নি। এমন ভিডিও প্রকাশ সঙ্গে মিশা আরও বলে, ‘এজন্য আমি নিন্দা জ্ঞাপন করলাম।’
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দাবি করা হয় মিশা সওদাগর ‘মব’র আক্রমণের শিকার হয়েছেন। একদল উত্তেজিত তাকে রাস্তায় মারধর করেছেন। এ দৃশ্য দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় করেছে।
Advertisement
ভিডিও ভাইরাল হলে মিশার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকার একটি ছবি অভিনতো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা। এটি দেখে তার অনুরাগীরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। অনেকে মনে করেন, আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এ অভিনেতা। তবে মিশাকে মারধরের ভিডিওটি সম্পূর্ণ অসত্য। তার নাম করে ভুয়া এ ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে অভিনেতা জায়েদ খান মিশা সওদাগরের চিকিৎসার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের একটি হাসপাতালে মিশা সওদাগরের হাঁটুর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন তার জন্য।
আরও পড়ুন: মিশাকে মারধরের নামে ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে যা জানা গেল এখন সিনেমা নয়, দেশের কাজে নামা যায় কি না ভাবছি: মিশা ‘আমার অভিনয় জীবন নিয়ে আমি তৃপ্ত’মিশা সওদাগার প্রায় ৯ বছর আগে ‘মিসড কল‘ নামে একটি সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। সে সময় তার ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল। সে সময়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থও হয়ে অভিনয়েও ফিরেছিলেন তিনি। তবে আবারও সেই একই স্থানে আঘাত পান এ অভিনেতা। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন।
এমএমএফ/এএসএম
Advertisement